পাঁচবার বিভিন্ন কায়দায় দড়ি ফেলেও ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় ভেতরে থাকা তিন ইঞ্চি ব্যাসের সাড়ে তিনশ ফুট দীর্ঘ একটি পাইপ ক্রেইন দিয়ে টেনে তুলে জায়গা করা হয়েছে।
ওই পথে তুলনামূলভাবে সরু নতুন একটি পাইপ ঢুকিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের একটি বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছেন বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল।
তাদের সঙ্গে কথা বলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা বুয়েটের প্রস্তাবিত পদ্ধতিতেই চেষ্টা চালাতে চান। ইতোমধ্যে পাইপ কেটে ওই ‘ক্যাচার’ বানানোর কাজ শুরু হয়েছে।
বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষর্থী তানভীর আরাফাত ধ্রুব জানান, তাদের ওই পাইপের নিচের অংশে এমন ব্যবস্থা থাকবে যাতে সেটি নিচে পৌঁছে গুটিয়ে রাখা একটি অংশ খুলে দেবে শিশুটিকেসহ তা উপরে উঠিয়ে আনার ব্যবস্থা থাকবে।
শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সেখানে ক্যামেরা ও আলোসহ বশির আহমেদ নামের এক স্বেচ্ছাসেবীকে নামানোর কথা ভাবা হলেও পরে নিরাপত্তার খাতিরে তা বাতিল করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের স্বেচ্ছাসেবী বশির এর আগে রানা প্লাজার উদ্ধার অভিযানেও অংশ নিয়েছিলেন।
এদিকে ঘটনার নয় ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ওয়াসার ওয়াটার প্রুফ ক্যামেরা। কিছুক্ষণের মধ্যে সেটিও পাইপে নামানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
জিহাদকে উদ্ধার করা সম্ভব হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা সম্বলিত একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে প্রস্তুত রেখেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ উদ্ধার অভিযানের ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেজর শাকিল নেওয়াজ।
টান টান উত্তেজনা নিয়ে টেলিভিশনে অভূতপূর্ব এই উদ্ধার অভিযান দেখছে সারা দেশের মানুষ। কয়েক হাজার উৎসুক জনতার ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে।