স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে চাল রপ্তানি করতে যাচ্ছে সরকার। আজ দুপুরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ বাংলার কাকলী প্রথম দফায় সাড়ে ১২ হাজার টন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে রওনা হবে। চাল বোঝাই শেষে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর জেটিতে অপেক্ষা করছে জাহাজ ‘বাংলার কাকলী’। এর মধ্যে দিয়ে খাদ্য শস্য আমদানি নির্ভর দেশ থেকে রপ্তানিতে নতুন অধ্যায়ের যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশ।
এতদিন চাল, গম বিভিন্ন খাদ্যশস্য আমদানি করে শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করায় এবার রপ্তানির তালিকায় যোগ হলো চাল। শ্রীলংকা সরকারের অনুরোধে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ২৫ হাজার মেট্রিক টন মোটা চাল রফতানি করতে যাচ্ছে সরকার।
১৯ ডিসেম্বর থেকে বন্দরের ৪ নম্বর জেটিতে শুরু হয়েছে চাল বোঝাইয়ের কাজ। লোডিং শেষে প্রথম দফায় সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে ২৭ ডিসেম্বর শ্রীলংকা যাচ্ছে বিএসসি’র জাহাজ।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘শ্রীলংকার চাহিদানুযায়ী সারা দেশ থেকে চাল সংগ্রহ করে আমরা তাদের সরবরাহ করতে যাচ্ছি।’
এক্ষেত্রে চাল রপ্তানির ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গর্বিত বিএসসি। রপ্তানি অব্যাহত থাকলে সরকারী সংস্থাটি আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। বিএসসি মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন জানান, ‘চাল রপ্তানি বাড়ার মাধ্যমে বিএসসি যুক্ত হতে পেরে গর্বিত। ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে বিএসসি’র সুনাম বাড়বে।’
চাল ব্যবসায়ীরাও এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, এতে কৃষকরা ধান চাষে উৎসাহিত হওয়ার পাশাপাশি ফসলের ন্যায্য দাম পাবেন। আর চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম বলেন, ‘এটা অবশ্যই একটি সুখবর। পাশাপাশি কৃষকরাও উপকৃত হবেন।’