হরতালের সারাদেশে বই উৎসব নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন অভিভাবকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে কোনো মূল্যে এ উৎসব সফল করার ঘোষণা দেয়া হলেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না তারা। আর, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন কর্মসূচি থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদরা।
নতুন বছর। নতুন ক্লাস। আর তার সাথে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ। শিক্ষার্থীদের এমন উচ্ছ্বাসের কথা চিন্তা করেই বিগত চার বছর ধরে বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দিনটিকেও পালন করা হয় থাকে বই উৎসব হিসেবেই।
আগামীকালও ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ৩শ ৭৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯শ ২৩ টি বই বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ নিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০১৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন বইয়ের কপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পৌঁছে গেছে নতুন বই। কিন্তু হঠাৎ করেই হরতালের ঘোষণায় বই উৎসব নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন অভিভাবকরা।
শিক্ষাবিদ কায়কোবাদ মনে করেন, রাজনৈতিক এধরনের কর্মসূচির ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের এমন কোন কর্মসূচি দেওয়া উচিত নয় যাতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এদিকে, শিক্ষাবিরোধী এ ধরনের কর্মসূচী বর্জন করে পাঠ্যপুস্তক উৎসবকে সফল করতে অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যারা হরতাল দিয়ে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার পথে বাধা সৃষ্টি করছেন। এটি পরিষ্কার ভাবেই বোঝা যায় তাদের উদ্দেশ্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। এ হরতাল আমাদের শিক্ষা বিরোধী হরতাল, নতুন প্রজন্ম বিরোধী হরতাল।’
শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ঝরে পড়া রোধে বই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী।