ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ২০১৪ সাল ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সাল। আর ২০১৫ হবে বিএনপি-জামায়াতের কবরের সাল।
বুধবার সকালে রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হরতাল বিরোধী সমাবেশে তিনি একথা বলে বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নাকে খত দিয়ে আস্তে আস্তে আন্দোলন থেকে সরে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া বুঝতে পেরেছে ২০১৫ হবে তার জন্য সর্বনাশের সাল। তার রক্ত ছাড়া ভালো লাগে না।
তিনি আরো বলেন, জামায়াত-শিবিরের আমির খালেদা জিয়া। তিনি আল-বদরদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। তাদের গাড়িতে পতাকা উড়ানোর ব্যবস্থা করে তিনি পাপ করেছেন। এখন অপেক্ষা করুন। আল-বদরদের মত আপনাকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।
এসময় তিনি দাবি করেন, দেশে কোন হরতাল হচ্ছে না। দোকান পাট খোলা আছে। গাড়ি-ঘোড়া চলছে। দেশের জনগণ হরতাল মানে না।
মায়া বলেন, দেশের মানুষ ২০২১ সালের অপেক্ষায় বসে আছে। কারণ ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। এই জন্য বিএনপি-জামায়াত প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতে চায়। তবে এই ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত আমরা সফল হতে দেব না।
সমাবেশে অংশ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, এই হরতাল মূলত আদালতের বিরুদ্ধে। জামায়াত একদিকে বলছে আইনিভাবে লড়বে। অন্যদিকে হরতালের ডাক দিচ্ছে। তাদের নিজেদের মধ্যেই পরস্পর বিরোধী কথাবার্তা। এটা আদালত অবমাননার শামিল।
তিনি বলেন, জামায়াতের আজকের এই হরতালে বিএনপির সমর্থন আছে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কারণ তারা দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য করতে চায়। বিশৃঙ্খলা করতে চায়। আমাদের মূল দায়িত্ব তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকা। আমরা থাকবো। তাদের কোনো ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত সফল হতে দেব না।
আওয়ামী সমর্থক জোটের সভাপতি আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য এনামুল হক শামীম, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দপ্তর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।