শীর্ষ প্রবণতা ২০১৪: নাটক দিয়ে শুরু করেন বেশির ভাগ নির্মাতা। তারপর থিতু হন বিজ্ঞাপন অথবা সিনেমায়। গত কয়েক বছরের নিয়মিত চিত্র এটি। শেষ হতে যাওয়া ২০১৪-তেও দেখা গেছে এমনটাই
পরিচালকের ঝুড়িতে বছরজুড়ে নাটক নয়, ঠাসা ছিল বিজ্ঞাপনে। অনেকে হাত দিয়েছেন বড় মাধ্যম সিনেমায়ও। এর কারণটাও পরিষ্কার। ‘আসলে বিজ্ঞাপন নির্মাণের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ এর বাণিজ্যিক দিকটা। আর নাটক নির্মাণে সবচেয়ে বড় সমস্যা আর্থিক অসংগতি। সৃষ্টিশীলতার আনন্দ আছে বটে, কিন্তু তা দিয়ে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। তাই বিজ্ঞাপনের দিকে বাধ্য হয়েই ঝুঁকতে হয়।’ বলছিলেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা। তাঁর কথার সঙ্গে সুর মেলান নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন। বলেন, ‘আমি সবশেষ ২০১২ সালে সুপারম্যান নামে একটি নাটক নির্মাণ করেছিলাম। তারপর আর ওই পথে হাঁটিনি। কারণটা পরিষ্কার। আমার কাছে অনেক গল্প আছে। ভালো নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। কিন্তু সে অনুযায়ী বাজেট পাওয়ার নিশ্চয়তা কি আছে?’ উল্টো প্রশ্ন রাখেন তিনি।
নাটক নির্মাণের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা বাজেট এবং বাণিজ্যিক দিক। সিনেমার দিকে ঝুঁকে যাওয়ার বড় কারণও এই দুটো বলে মনে করেন নির্মাতারা। বেশ কয়েকটি সিনেমায় হাত দেওয়ার পর নিজের অভিজ্ঞতার ব্যাপারে অনিমেষ আইচ বলেন, ‘আমি প্রতিবছর উৎসব ধরে কিছু নাটক বানাই। সেটা বছরজুড়ে করার সুযোগ নেই।’ তিনি জানান, মানুষ এখন টিভি কম দেখে। সিনেমায় সাড়া বেশি পাওয়া যায়। নির্মাতা এস এ হক অলিক এ বছরই হাত দিয়েছেন তাঁর নতুন ছবি এক পৃথিবী প্রেম-এর কাজে। নাট্যনির্মাতা শিহাব শাহীন শেষ করেছেন ছুঁয়ে দিলে মন ছবির কাজ। নতুন বছরে মুক্তি পাবে এটি। নাট্য নির্মাতা হিমেল আশরাফ ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর প্রথম ছবি সুলতানা বিবিয়ানা নির্মাণের। বিজ্ঞাপন নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন পরিকল্পনা করছেন নতুন ছবি নির্মাণের। সব কিছু মিলিয়ে ২০১৪ সালে নির্মাতারা বিজ্ঞাপন ও সিনেমার দিকে ঝুঁকেছেন বেশি।এই নির্মাতাদের ভাষায়—সব পরিচালকের লক্ষ্য কিন্তু বড় ক্যানভাস সিনেমাই। তাই এ লক্ষ্যেই এগিয়ে যাবে সবাই—এটাই স্বাভাবিক।