বছরের প্রথম দিনটাই শিরোপা জিতে উদ্যাপন করেছেন সিদ্দিকুর। বিপিজিএর প্লেয়ার্স চ্যাম্পিয়নশিপে অন্য গলফারদের সঙ্গে বিশাল ব্যবধান রেখেই তিনি চ্যাম্পিয়ন। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের রেকর্ডটা আর ভাঙা হয়নি সিদ্দিকের, টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ১৮ আন্ডার পার খেলে। কুর্মিটোলায় কোর্স রেকর্ড ১৯ আন্ডার, ২০১১ সালে সিদ্দিকুর নিজেই করেছিলেন। কাল নতুন রেকর্ড না হলেও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে দারুণ খুশি দেশসেরা এই গলফার, ‘১৮ আন্ডার পারও কম ভালো স্কোর নয়! এশিয়ান ট্যুরে বছরের শেষটা আমার ভালো যায়নি ইনজুরির কারণে। সেখান থেকে এভাবে ফর্মে ফেরাটা অবশ্যই আমাকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে সামনের মৌসুমে।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুরু এশিয়ান ট্যুরের নতুন মৌসুম। ঢাকায় প্লেয়ার্স চ্যাম্পিয়নশিপটা শুরু হয়েছিল বিপিজিএ মৌসুমের শেষ টুর্নামেন্ট হিসেবে। ২৮ তারিখ খেলা শুরু হয়ে শেষ রাউন্ড গড়িয়েছে নতুন বছরের প্রথম দিনে। সিদ্দিকুর প্রথম দিন থেকেই শিরোপার দাবি জোরালো করেছেন। প্রথম রাউন্ডে ৫ আন্ডার পার খেলে শীর্ষে ছিলেন, দ্বিতীয় দিন অবিশ্বাস্য ৯ আন্ডার পার খেলার পরই প্রতিপক্ষ সব গলফারের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যান তিনি। তৃতীয় রাউন্ডে ১ আন্ডার পার খেলে শেষ দিন নেমেছিলেন ১৫ আন্ডার পার নিয়ে। তাতেই ২০১১ সালে গড়া ১৯ আন্ডার পারের রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ দিন ৩০ বছর বয়সী এ গলফারের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ৯ হোলে স্কোর পারের সমান। এর মধ্যে ডাবল বোগিও খেলেছিলেন, বার্ডি খেলে সেটি পুষিয়ে নিতে হয়েছে। ১৬তম হোল পর্যন্ত তিনি আগের দিনের স্কোরেই, অর্থাৎ ১৫ আন্ডার পার। রেকর্ডের আশা তাতে শেষ, তবে শেষ তিন হোলেই পর পর তিনটি বার্ডি খেলে স্কোর বাড়িয়ে নিয়েছেন সিদ্দিক। দিনশেষে শিরোপার ট্রফি হাতে সিদ্দিকুরের মুখে তাই চওড়া হাসিই ছিল। ১০ লাখ টাকার এই টুর্নামেন্ট, চ্যাম্পিয়ন হয়ে তিনি জিতেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আসরে রানার্স আপ হয়েছেন জাকিরুজ্জামান ৬ আন্ডার পার খেলে, ৫ আন্ডার খেলে জামাল হোসেন হয়েছেন তৃতীয়। সিদ্দিকের সঙ্গে আগামী এশিয়ান ট্যুর মৌসুমেও খেলছেন জামাল। জাকির এবং আরো দুই গলফার দুলাল হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন অংশ নেবেন বাছাইয়ে। টুর্নামেন্ট শেষে তাঁরা শুভকামনাই পেয়েছেন দেশসেরা গলফার সিদ্দিকের কাছ থেকে, ‘জামাল ও জাকির বেশ ভালো করেছে, আরো কয়েকজন পারের বেশ কাছাকাছি টুর্নামেন্ট শেষ করেছে, এটা খুবই ইতিবাচক। আগামী বছর আমি আর জামাল এশিয়ান ট্যুরে খেলছি নিশ্চিত। আর জাকির-সোহেলরা যদি বাছাই পেরিয়ে আসতে পারে তাহলে তো খুবই ভালো। এশিয়ান ট্যুরে দেশের পাঁচজন গলফারের প্রতিনিধিত্ব থাকা কম কথা নয়।’