বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার (৪ জানুয়ারি) বেলা পৌনে দুইটার দিকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার সঙ্গে যোগ হন দাঙ্গা পুলিশ সদস্যরাও।
সোমবার (৫ জানুয়ারি) ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আওয়ামী লীগ রাজধানীর ১৬টি স্পটসহ সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পযায়ে বিজয় র্যালি ও সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ ঘোষণা করে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশের পাশাপাশি সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
পাল্টাপাল্টি এ কর্মসূচির কারণে রাজধানীতে রোববার (৪ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশ (ডিএমপি)। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
শনিবার (৩ জানুয়ারি) রাত থেকে খালেদা জিয়া তার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে রয়েছেন। এ কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ থাকা এবং খালেদাকে বাইরে বের হতে না দেওয়া বা ভেতরে কাউকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনায় বিএনপি বলছে, খালেদাকে ‘অবরুদ্ধ’ রাখা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে রোববার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ ৫ জন আইনজীবীসহ বিএনপির ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
ওই সময় বিএনপিপন্থি নারী আইনজীবী ও অন্য নেতাকর্মীরা খালেদার কার্যালয়ের সামনে এসে ভেতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় নারী পুলিশের সঙ্গে নারী আইনজীবী ও নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ৫ নারী আইনজীবীসহ দশজনকে আটক করে নিয়ে গেছে।
আটককৃত নারী আইনজীবীরা হচ্ছেন- অ্যাডভোকেট আরিফা, জেসমিন আক্তার, নাসরিন, এলিজা আক্তার ও লাইলি।
এ সংঘর্ষের পরেই খালেদার কার্যালয়ের সামনে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করেছে ডিএমপি।