রাজধানীর নয়াপল্টনে যাওয়ার সকল প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
৫ই জানুয়ারি ২০দলীয় জোটের ঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের সমাবেশ ঠেকাতে নয়াপল্টনে ঢোকার সব গলিরমুখ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে বিজয়নগর ও ফকিরাপুল পর্যন্ত পুরো এলাকার কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন গলিরমুখও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এতে ওই এলাকায় দিয়ে গাড়ি ও সাধারণ মানুষের চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। দুই পাশে অবস্থান নিয়ে আছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। তারা কাউকে ওই এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছেন না।
গত শনিবার রাত পৌনে ১২টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় থেকে দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই এ অবস্থার শুরু হয়।
রিজভী আহমেদকে গ্রেপ্তারের পরপরই নয়াপল্টন কার্যালয়ে অবস্থান করা অফিস স্টাফদের বের করে কার্যালয়ের গেটে তালা মেরে দেয় পুলিশ।
কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে একে একে সবগুলো গলিরমুখ বন্ধ করে দেয় তারা। যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। পুলিশের এই প্রতিবন্ধকতার কারণে ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নেতাকর্মীশূন্য নয়াপল্টন কার্যালয়েও ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে।
তবে শনিবার রাতে রিজভীকে নিয়ে যাওয়ার পর নয়াপল্টন কার্যালয়ে তুষার নামে এক অফিস স্টাফ আটকা পড়েন।
পরে রোববার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ তাকে বের করে দেয়। রোববার সন্ধ্যার পর নয়াপল্টনের মসজিদ গলিতে পরপর দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটলে আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। সাঁজোয়া যান, জলকামান, এপিসি, পুলিশ ভ্যান মোতায়েন রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর কিছু গণমাধ্যম কর্মী ছাড়া নয়াপল্টনে কাউকে দেখা যায়নি।