নতুন বছরে আবারো সাফল্যের দেখা পেলেন সিদ্দিকুর রহমান। প্লেয়ার্স চ্যাম্পিয়নশীপের পর এবার পঞ্চম সামিট ওপেন গলফ ২০১৫-তেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দেশের সেরা এই গলফার।
বুধবার কুর্মিটোলা মাঠে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দুলাল হোসাইনের চেয়ে দুই শট কম খেলে চ্যাম্পিয়ন হন সিদ্দিকুর। ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরে সেরা হওয়ায় বেশ খুশি এই টাইগার গলফার।
কতটুক মাপমতো দিয়ে মারলে বলটি লক্ষ্যে পৌছবে, তারই যেন বারবার হিসাব মেলাচ্ছিলেন দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর। পরিচিত মাঠ, পরিচিত প্রতিদ্বন্দ্বী, তারপরও এতটুকু চেষ্টার কমতি নেই সদ্য ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা এই গলফারের।
গেলো বছরটা কেটেছে ইনজুরির থাবায়। নতুন বছরে অবশ্য সেই সমস্যা কেটে গেছে সিদ্দিকুরের। প্লেয়ার্স চ্যাম্পিয়নশীপের পর সামিত ওপেনেও দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। প্রথম দিন অবশ্য পঞ্চম ছিলেন। কিন্তু পরের দু’দিনে ঘুরে দাড়িয়ে শীর্ষে থাকেন সিদ্দিকুর। পারের চেয়ে ১০ শট কম খেলে ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জিতলেন সদ্য ইনজুরি জয় করা মাদারীপুরের এই ছেলে।
গলফার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘শিরোপা জিততে পেরে আমি অনেক খুশি এবং নিজের ট্র্যাকে ফিরতে পেরেও ভালো লাগছে।’
দেশের গলফে এখন সিদ্দিকুরের পাশাপাশি ভালো করছেন অন্যরাও। আগে এসব প্রতিযোগিতায় দু’একজন আন্ডার পার করলেও এবার করেছেন ৬ জন। যা স্বীকার করলেন তিনি নিজেও। তবে অন্যদের থেকে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাই তাকে এগিয়ে রাখছে বলে মনে করেন সিদ্দিকুর।
তিনি আরো জানান, ‘বিভিন্ন দেশে খেলার কারণে আমার অভিজ্ঞতার বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে অন্যরাও বেশ ভালো করছে।’
সামনেই ইউরোপে তিনটি গলফ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
সিদ্দিকুর বলেন, ‘ব্যাক টু ব্যাক দুটি শিরোপা জিততে পেরে ভালো লাগছে এবং আগামীতে ইউরোপে তিনটি টুর্নামেন্টে ভালো করার প্রত্যাশা করছি।’
চ্যাম্পিয়ন গলফার সিদ্দিকুর এই আসরে ক্রেস্ট ছাড়াও পাবেন এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা।