টুজি ও থ্রিজি সেবা দেওয়া মোবাইল ফোন অপারেটরদের আরও বেশি স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা থেকে আবারও নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকম নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। আগামী ৩০ এপ্রিল এ নিলাম অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত অনুমোদন এবং অনুমোদিত খসড়া গাইডলাইন চূড়ান্ত করার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই নিলামের কার্যক্রম শুরু হবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিটিআরসির ১৭৫তম কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের প্রথম ভাগেই টুজি ও থ্রিজি স্পেকট্রামের এক দফা নিলাম অনুষ্ঠানের ফলে ফোরজির জন্য ৭০০ মেগাহাটর্জ স্পেকট্রাম নিলাম বেশ কিছুটা পিছিয়ে যাবে। বিটিআরসির প্রস্তাবিত টুজি ও থ্রিজি তরঙ্গ নিলামে শুধুমাত্র বর্তমানে টুজি ও থ্রিজি সেবা দেওয়া মোবাইল ফোন অপারেটররাই অংশ নিতে পারবে।
এ ব্যাপারে বিটিআরসির সচিব সারওয়ার আলম প্রিয়.কমকে জানিয়েছেন, টুজি ও থ্রিজি তরঙ্গ নিলামের ব্যাপারে অপারেটরদের সাথে কথা বলেই রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। আর আগামী এপ্রিল মাসে টুজি ও থ্রিজি তরঙ্গ নিলাম শেষ হওয়ার পর ফোরজি নিলাম নিয়ে কাজ করবে বিটিআরসি।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ মার্চ নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করা হবে। ১২ মার্চ নিলাম বিষয়ে আপত্তি দেওয়ার শেষ দিন। ২০ এপ্রিলের মধ্যে বিড আর্নেস্ট মানি জমা নেওয়া হবে এবং ৩০ এপ্রিল নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। খসড়া গাইডলাইনে ১৮০০ মেগাহার্টজের জন্য নিলামের ভিত্তিমূল্য ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২৪০ কোটি টাকা) এবং ২১০০ মেগাহার্টজের জন্য ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা) ধরা হয়েছে।
কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রস্তাবে ১৮০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের ১০.৬০+১০.৬০ মেগাহাটর্জ খালি আছে। এই তরঙ্গকে দুটি ব্লকে ভাগ করে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে টেলিকম সেবা দেওয়া অপারেটরদের মধ্যে যাদের পূর্বের রাজস্ব বকেয়া আছে এবং যারা আগেই ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের বেশি বরাদ্দ নিয়েছেন, তারা প্রাথমিকভাবে আবেদনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে না। তবে কোনো ব্লক বিক্রি না হলে সেক্ষেত্রে ২০ মেগাহার্টজের বেশি তরঙ্গ ব্যবহারকারীরাও নিলামে অংশ নিতে পারবে।
২১০০ মেগাহার্টজের ক্ষেত্রে ১৫+১৫ মেগাহার্টজ বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই তরঙ্গ তিনটি ব্লকে ভাগ করে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। যেসব অপারেটর বর্তমানে থ্রিজি সেবা প্রদান করছে তারাই কেবল এই তরঙ্গের নিলামে অংশ নিতে পারবে।