সাপ দংশন করলে ওষুধ হিসেবে যে ‘অ্যান্টি ভেনম’ প্রয়োগ করা হয় তা সব সাপে কাজ করে না। এ জন্য পৃথক সাপের জন্য পৃথক ‘অ্যান্টি ভেনম’ ব্যবহার করতে হয়। ফলে এ জটিলতায় প্রাণ হারাতে হয় বহু মানুষকে। কিন্তু এ সীমাবদ্ধতা কাটাতে নতুন প্রজন্মের ‘অ্যান্টি ভেনম’ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট।
নতুন প্রজন্মের এ ‘অ্যান্টি ভেনম’ তৈরি হলে তা দিয়ে যেকোনো সাপ দংশন করলেই তার চিকিৎসা সম্ভব হবে। এ ধরনের ‘অ্যান্টি ভেনম’ তৈরির গবেষণা করছেন লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকরা। তারা এ ক্ষেত্রে ‘অ্যান্টিভেনোমিক্স’ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন।
নতুন এ ‘অ্যান্টি ভেনম’ তৈরি হলে প্রতিবছর ১০ হাজার মানুষের জীবন রক্ষা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে। প্রতিবছর ৩২ হাজার মানুষ সাপের দংশনে মারা যায়। এ ছাড়াও বছরে প্রায় ৯৬ হাজার মানুষ এতে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যায়। এ মৃত্যুর অধিকাংশই হয় সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে।