আমাদের দৈনন্দিন রান্নায় পেঁয়াজ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ । পেঁয়াজ ছাড়া মজাদার তরকারি রান্নার কথা ভাবাই যায় না । পেঁয়াজকেও তরকারি হিসেবে খাওয়া যায় । আবার তরকারি ছাড়াও সালাদে পেঁয়াজ খাওয়া হয় । কাঁচা পেঁয়াজও অনেকে খেতে পছন্দ করেন । পেঁয়াজের রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ । খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ সালের দিকেও মিশরে পেঁয়াজের ভেষজগুনের জন্য ছিলো জনপ্রিয় । পেঁয়াজের রস বাতরোগ সারায়, হৃদরোগের উপকারি এবং যৌন সক্ষমতা বাড়াতে পারে । এ সবই আমরা জানি । এবার জানাতে চাচ্ছি পেঁয়াজের ব্যতিক্রমী কিছু ব্যবহার । আসুন জেনে নেয়া যাক:
১। মশা বা কীটপতঙ্গের কামড় থেকে রক্ষা পেতে:
মশার উৎপাত বা কীটপতঙ্গের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে পেঁয়াজের রস শরীরের অনাবৃত অংশে মাখিয়ে নিন দেখবেন মশা বা কীটপতঙ্গ কামড়াতে আসছে না ।
২। কীটপতঙ্গের কামড়ের ব্যথা দূর করে:
কীট পতঙ্গের কামড়ে অনেক সময় ব্যথা হয় । সেই ব্যথা দূর করতে এক টুকরা পেঁয়াজ ঘষে দিন ব্যথার স্থানে । ব্যথা কমে যাবে ।
৩। গলা ব্যথায়:
গলা ব্যথা হলে একটু গরম জলে পেঁয়াজের রস দিয়ে পান করুন অল্প অল্প করে । গলা ব্যথা সেরে যাবে ।
৪। পোড়া ব্যথায় উপকারি:
শরীর কোন অংশ পুড়ে গেলে সেখানে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে রাখুন । দেখবেন পোড়া স্থানের ব্যথা থাকবে না, জ্বালা কমে যাবে ।
৫। ধাতুর দাগ দূর করে:
সাধারণত চামচ, দা, ছুরি কিংবা আর আর ধাতব সামগ্রীতে দাগ বসে যায় । এক্ষেত্রে আপনি এক কাজ করতে পারেন- পেঁয়াজ কেটে তা দিয়ে ঘষে তুলে ফেলতে পারেন সেইসব কঠিন দাগ সহজে ।
৬। ব্রণ দূর করতে:
সকালে ঘুম থেকে জেগে গালে একটা অস্বাভাবিক ব্রণ দেখতে পাচ্ছেন, সমস্যা নেই । ব্রণতে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে দিন এবং কিছুদিনের মধ্যেই ব্রণ চলে যাবে ।
৭। চুল পড়া কমাতে:
চুল পড়া কমাতে চুলে পেঁয়াজের রস মাখার বিকল্প কিছু হতে পারে না । চুলের গোড়াকে শক্ত করে । তাই চুল পড়া কমে যায় অনেক দ্রুত ।
৮। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল:
পেঁয়াজে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান । তাই ফোঁড়া বা ঘা পেঁয়াজ দিয়ে ধুলে তাড়াতাড়ি সেরে যায় ।
৯। হেঁচকি বন্ধ করতে:
কোন মতেই হেঁচকি ওঠা বন্ধ করতে না পারলে, পেঁয়াজের রস মিশিয়ে পানি পান করুন । হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে ।
১০। বমি বন্ধ করে:
বমি বন্ধ করতে হলে কয়েক ফোঁটা পেঁয়াজের রস জলে মিশিয়ে পান করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বমি বন্ধ হয়ে যাবে ।