বাকি আর মাত্র নয় দিন। ৩০ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন (২০১৫-১৬)। বাংলাদেশে ভারতীয় ছবির প্রদর্শন ঠেকাতে চলচ্চিত্র ঐক্য জোটের আন্দোলনের মধ্যেও শিল্পী সমিতির নির্বাচনী প্রচারণায় এফডিসির আঙিনা এখন সরগরম।
সভাপতি পদে একদিকে শাকিব খান, অন্যদিকে আহমেদ শরীফ। তাঁদের নেতৃত্বে দুটি প্যানেল মূলত লড়ছে নির্বাচনে। সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সদস্যসহ মোট ২১টি পদের বিপরীতে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ দুটি প্যানেল থেকে ৩৭ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে নেমেছেন।
এই নির্বাচনে অমিত হাসান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন। আহমেদ শরীফ প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো প্রার্থী না থাকায় তাঁরা অমিত হাসানকে সমর্থন দিয়েছেন।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে গতবারের বিজয়ী শাকিব খান ও মিশা সওদাগর এবারও একই পদে একই প্যানেল থেকে লড়ছেন। মৌসুমীর বেলায়ও তাই। গতবার তিনি শাকিব-মিশা প্যানেল থেকে কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছিলেন। এবারও একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নায়িকাদের মধ্যে এ প্যানেলে সদস্য পদে নতুন মুখ হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন ববি। নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য অনেক কিছু করতে ইচ্ছা করে। সংগঠনের সঙ্গে থেকে কাজটা করা সহজ। এ কারণেই নির্বাচনে আসা।’
তবে কার্যকরী সদস্য পদে নায়িকাদের মধ্যে শাকিব-মিশা প্যানেল থেকে মৌসুমী ও ববিকে পাওয়া গেলেও আহমেদ শরীফ প্যানেল থেকে একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে তাঁদের বিপক্ষে লড়ছেন চলচ্চিত্রের খলনায়িকা রীনা খান।
জয়ের ব্যাপারে এবারও আশাবাদী শাকিব খান। বললেন, ‘গতবার বিজয়ী হওয়ার পর থেকে চলচ্চিত্রশিল্পীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কাজ করে এসেছি। পুনরায় নির্বাচিত হলে এই কাজকে আরও এগিয়ে নিতে পারব।’
অন্য সভাপতি প্রার্থী আহমেদ শরীফ বলেন, ‘গত সাড়ে তিন বছরে চলচ্চিত্রশিল্পীদের স্বার্থে কোনো কাজ হয়নি। চলচ্চিত্রশিল্পীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্যই নির্বাচনে আসা। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মিজু আহমেদ। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৫৮৩ জন।