জাহিদুর রহমান -ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ-
ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস সড়কে একটি চাল বোঝাই ট্রাক থেকে আনুমানিক চার হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হলেও এখন প্রচার করা হ”েছ ২১শ বোতলের কথা। পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেটকে না জানিয়ে বাকী ফেনসিডিল গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস সড়ক থেকে এই ফেনসিডিল উদ্ধার করে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে তারা জেলা শহরের বাইপাস সড়কে যশোর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি ট্রাকের গতিরোধ করে তল্লাসী চালায়। এসময় তারা চালকের আসনের নিচ থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করে। খবর পেয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চলের পরিচালক আসলাম হোসেন ঝিনাইদহে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ট্রাকটি থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হলেও কর্তৃপক্ষ মাত্র ২১ শ’ বোতল হিসাব দেখায়। উল্লেখ্য, মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনা¯’লেই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপ¯ি’তিতে জব্দ তালিকা করার কথা থাকলেও তা না করে ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মোশাররফ হোসেন প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে নিজের ই”ছামত মাদক বোঝাই ট্রাকটি শহরের নতুন হাটখোলায় তার কার্যালয়ের সামনে নিয়ে আসেন। সবচে মজার ব্যাপার মাদকসেবীদের দিয়ে তিনি ফেনসিডিল বোঝায় বস্তা কার্যালয়টির ৪র্থ তলায় বহন করে তোলেন। অভিযোগের বিষয়ে পরিদর্শক মোশাররফ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি ফেনসিডিল আতœসাতের কথা অস্বীকার করে জানান, ফেনসিডিল চার তলায় বহন করতে লেবার খরচ প্রয়োজন। তাই উপ¯ি’ত ব্যক্তিদের দিয়ে উপরে উঠানো হ”েছ। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন জানান, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকদ্রব্য উদ্ধারের সময় জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে তাদের সহযোগীতা নেওয়া কথা। কিš‘ এবিষয়টি সম্পর্কে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাসরিন জাহান জানান, মাদকদ্রব্য উদ্ধারের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কিছুই জানায়নি। প্রশাসনকে সম্পূর্ন অন্ধকারে রেখে এ ধরণের জব্দ নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।