অনিয়মিত খাদ্যভ্যাস, মাইগ্রেন, সাইনুসাইটিস এমন অনেক কারণেই মাথাব্যাথা হয়ে থাকে। কেউ কেউ মাথাব্যাথা থেকে রেহাই পেতে পেইনকিলারের দ্বারস্থ হন। কিন্তু বেশী পেইনকিলার খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। কিছু কিছু খাবার যেমন মাথাব্যাথা তৈরি করতে পারে, তেমনি কিছু খাবার মাথাব্যাথা কমাতেও সক্ষম। পেইনকিলারের বিকল্প হিসেবে চমৎকার কাজ করে সহজলভ্য এসব খাবার।
১. পালংশাক
পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্লাভিন, এক ধরণের ভিটামিন বি যা মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যাথায় কাজে দেয়।
২. তৈলাক্ত মাছ
তৈলাক্ত মাছ এবং সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি। এদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে ব্যাথা কমে আসে।
৩. তরমুজ
অনেক ক্ষেত্রেই পানিশূন্যতার কারণে মাথাব্যাথা বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে পানি পান করা যেমন উপকারি, তেমনি শসা বা তরমুজের মতো পানিযুক্ত ফল ও সবজিও উপকারে আসে। শুধু তাই নয়, শরীরের জন্য দরকারি ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সরবরাহ করে তরমুজ।
৪. আলু
মাথাব্যাথার জন্য পটাসিয়াম বেশ উপকারি। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে আমরা জানি, কিন্তু আলুও এক্ষেত্রে কম যায় না। মাঝারী আকৃতির একটি সেদ্ধ আলুতে থাকে ৯২৬ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, যা একটি কলায় থাকা পটাসিয়ামের প্রায় দ্বিগুণ।
৫. ক্যাফেইন
কফি বা চায়ের ক্যাফেইনে আসক্তি হয়ে যাবার ভয় থাকলেও, পরিমিত পরিমাণে ক্যাফেইন মাথাব্যাথা কমাতে কার্যকরী। অনেক মাথাব্যাথার ওষুধেই অল্প পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। তবে ক্যাফেইনের ওপর বেশী নির্ভরশীল হয়ে পড়লে সমস্যা, তখন ক্যাফেইন গ্রহণ ছেড়ে দিলে দেখা দিতে পারে মাথাব্যাথা।
৬. কাঠবাদাম
কিছু কিছু গবেষণায় বলা হয় ম্যাগনেসিয়াম মাথাব্যাথার জন্য ভালো, যদিও এ ব্যাপারে শক্ত প্রমান নেই। ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস হতে পারে কাঠবাদাম।