জানুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে দেশের ২৮৪ জন নারী। গত মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
সংবাদপত্রের খবরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ তথ্য তুলে ধরেছে। সোমবার সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ এক বিবৃতিতে এতথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এই সময়ে অর্থাৎ ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৫৫টি। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯ জন এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭ জনকে। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৩ জনকে, শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪ জন। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ৫ জন। অগ্নিদগ্ধ হয়েছে ৩ জন। এর মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মারা যায় ১ জন।
তিনি আরও বলেন, অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৬ জন। ৪৫ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৭ জন নারী। এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ১৬ জনকে। নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন গৃহপরিচারিকা। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৪ জনকে। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ৩৩ জনকে। উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে ২ জন।
রাখী দাশ পুরকায়স্থ বলেন, গত মাসে ফতোয়ার শিকার হয়েছে ৫ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৯ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। জানুযারি মাসে ১২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ৬ জন। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৭ জন। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ১৬ জনকে। এ ছাড়া অন্যান্যরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
জানুয়ারি মাসে ১৮টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় ১০৭টি বাড়ি, ৮০টি প্রতিমা ও ৩১টি পরিবারে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে রাখী দাশ পুরকায়স্থ জানান।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ তাদের সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে।