কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে উপজেলা বিএনপি নেতা মনির“জ্জামান মনিরের নির্দেশে পেট্রোল ও রেললাইনের পাথর নিয়ে মহাসড়কে বাস পোড়াতে ও ভাংচুর করতে যা”িছলেন দুই যুবদলকর্মী। ওই বিএনপি নেতাও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন। তবে তিনি পালিয়ে যান। এ সময় পেট্রোলসহ দুই যুবদলকর্মী জনতার হাতে আটক হয়ে গেলে তাদের নাশকতা পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। উপজেলা তর“ণ দলের দুই নেতাও এতে জড়িত ছিলেন। গত শুক্রবার রাতে বাজিতপুরের গজারিয়া এলাকায় জনতার হাতে আটক দুই যুবদলকর্মী মনির হোসেন ও জসিম উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানান। শনিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জুডিসিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি নেওয়ার পর দুই আসামিকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মনির হোসেন বাজিতপুরের দাড়িয়াকান্দা এলাকার মৃত মজলিস মিয়ার ছেলে। জসিম উদ্দিন একই উপজেলার কলাহাটি গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে। আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে দুই যুবদলকর্মী যাত্রীবাহী বাসে হামলার উদ্দেশ্যে পেট্রোল ও ৪৮ টুকরো বড় পাথর নিয়ে যা”িছলেন বলে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনির“জ্জামান মনিরসহ আরও তিনজন জড়িত ছিলেন। ঘটনার সময় তারা পালিয়ে যান। আদালতে তারা স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবু সায়েম ও কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপ¯ি’ত ছিলেন। জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত দুই যুবদলকর্মী উপজেলা বিএনপি নেতা মনির“জ্জামান মনির এবং উপজেলা তর“ণ দলের সভাপতি স্বাধীন ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম মিলে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিতে যান। শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে বাজিতপুর উপজেলার গজারিয়া থেকে বোতলভর্তি পেট্রোল, এক ব্যাগ পাথরসহ মনির হোসেন ও জসিম উদ্দিন নামের মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবদলকর্মীকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। বাজিতপুর থানার ওসি সুব্রত সাহা জানান, এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অপর তিন আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।