কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে স্ট্যান্ডে থাকা এক শ্রমিক লীগ নেতার ৪টি মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার মধ্যরাতে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে একটি গাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অপর মাইক্রোবাসে ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। শনিবার মধ্যরাতে পৌরসভার নয়াকান্দি মোড়ের মাইক্রো স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, পুলিশ ও ¯’ানীয় লোকজন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। করিমগঞ্জ উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মাজহার“ল হক জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নয়াকান্দি মোড়ে কয়েক ব্যক্তিকে কথা বলতে দেখে ¯’ানীয় লোকজন। এ সময় একটি মোটরসাইকেল ঘটনা¯’লে আসার পর গাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্তরা। ধারণা করা হ”েছ মোটরসাইকেলের আরোহীরাই পেট্রোল বহন করে নিয়ে এসেছিল। ঘটনা¯’ল থেকে পুলিশ একটি পেট্রোলভর্তি বোতল উদ্ধার করেছে। তিনি বলেন, স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা তার ৪টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়। গাড়ির গ্লাস ভেঙে সিটে পেট্রোল ছিটিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। পেট্রোলের আগুনে সিলেট চ-১১-০৩৭০ মাইক্রোবাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ গাড়িটি সম্প্রতি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন চালক সবুজ মিয়ার কাছে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল মোকসুদপুর এলাকার ইদ্রিছ আলীর ছেলে ক্ষতিগ্রস্ত সবুজ মিয়া জানান, দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে যাওয়া এ গাড়িটিই ছিল তার একমাত্র আয়ের উৎস। এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আক্তার“জ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মাইক্রোবাসে পেট্রোলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।