বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করে বিএনপি। এ মুহূর্তে সংলাপকেই একমাত্র পথ বলে মনে করছে দলটি।
ভারতীয় পত্রিকা ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ কে দেয়া এক ই-মেইল সাক্ষাৎকারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান একথা বলেছেন বলে জানা গেছে।
তিনি মনে করেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংলাপের কোন বিকল্প নেই।
বিএনপি নেতা মঈন খান বলেন, সংলাপ ব্যর্থ হলে, পরবর্তী বিকল্পও সংলাপ। সংলাপের মাধ্যমেই এ সঙ্কটাবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব। দেশে বিরাজমান সহিংসতা ও অচলাবস্থা নিরসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মধ্যে সংলাপ আয়োজনে জাতিসংঘ ও আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মঈন খান। আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থেই বাংলাদেশে বর্তমানে যে অচলাবস্থা বিরাজ করছে তার সমাধানে নজর দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
বিএনপি কেন সহিংসতার পথ বেছে নিলো এমন এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, বিএনপি কোন ধরনের সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত নয়। বর্তমানে ব্যাপক মাত্রায় যে সহিংসতা চলছে, তা দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংঘাতের ফল। গণতান্ত্রিক আদর্শ ও মূল্যবোধের অভাবে শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার কারণেই এ সহিংসতার সূত্রপাত।
চলমান সহিংসতা ‘কোন রোগ নয়, রোগের উপসর্গ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংলাপ আয়োজনে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিএনপি’র বহু সিনিয়র নেতাসহ প্রায় ১০ হাজার কর্মী মিথ্যা মামলায় আটকাবস্থায় রয়েছেন। সংলাপে বসার মতো গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেশে নেই। চিহ্নিত কোন অপরাধীর বিরুদ্ধে সরকার এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। তারা সরকারের মদদ পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মঈন খান।