নীলফামারীতে হাটবাজারের দরপত্র ফেলাকে কেন্দ্র করে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের হাতে সরকার দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিউর রহমান লাঞ্ছিত হয়েছেন।
বুধবার এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার উপজেলা পরিষদে।
জানা যায়, উপজেলার ২৪ টি হাট বাজারের আগামী বছরের ইজারার দরপত্র ফেলার শেষ দিন ছিল বুধবার। তবে দরপত্র এককভাবে নিয়ন্ত্রণের সকল চেষ্টা করে আওয়ামী লীগসহ তাদের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তারা প্রতিটি হাট বাজার ৫/৭ লাখ টাকা করে নিজেরা নিয়ে দরপত্র ফেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।
এ নিয়ে বুধবার সকাল হতে সরকারি দলের নেতারা দরপত্র ফেলতে একাধিকবার অনেককে বাধা দেয়। এ নিয়ে সকাল হতে উপজেলা ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় তা নিরসনের চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয় সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে সরকার দলীয়রা ছাড়া অন্য কেউ দরপত্র ফেলতে পারবে না এমন বেষ্টনী ভেঙ্গে একাধিক দরপত্র জমা পড়ে। অনেক দরাদরি শেষে বিকেলে দরপত্র খোলা হলে সমঝোতার বাইরে অনেকে বিজয়ী হয়।
এ নিয়ে সরকার দলীয় দরপত্র দাতারা বঞ্চিত হলে উপজেলা পরিষদে অশান্ত পরিবেশ তৈরী করে সরকার দলীয়রা। এ সময় তাদের হাতে সরকার দলীয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিউর রহমান লাঞ্ছিত হয় এবং উপজেলা পরিষদে ভাঙচুর করে। এর ফলে উপজেলা নির্বহী অফিসার দরপত্র কার্যক্রম স্থগিত করে পরে আগামী রোববার পুনরায় তার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঘোষণা দিলেও সরকারি সম্পদ ভাঙচুরের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা তা জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিউর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।