মানবাধিকারের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কারণেই আমরা বাংলাদেশে এসেছি বলে মন্তব্য করেছে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল।
নিখোঁজ ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সফররত দলটি বলেছে, শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য বাকস্বাধীনতা, রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকারের প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। একই সঙ্গে যেকোন পরিস্থিতেই মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরোধিতা করে তাদের আগের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে দলটি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে ইইউ’র ঢাকা অফিস।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের মাবাধিকার বিষয়ের উপ-কমিটির এক প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসে।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্রিস্টিয়ান ড্যান প্রিদা। দলে আরো রয়েছেন ক্যারোল কারস্কি, ইলিনা ভেলেন্সিয়ানো ও জোসেফ ওয়াইডেনজার।
সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদোনও তাদের সঙ্গে ছিলেন।
নিজের বিবৃতিতে ইইউ প্রতিনিধিদল বলেন, ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে পৌঁছাতে হলে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি আবশ্যই শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে বাংলাদেশের। এজন্য আমাদের একটি শক্তিশালী বাংলাদেশ দরকার।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য প্রতিনিধিদলটি বৈঠক করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়ার সাথে। সফরকালে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, পরিবেশবিদ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্পিকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের সাথে বৈঠক করেছে।
প্রতিনিধি দলের প্রধান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার একটি চুক্তিবদ্ধ বিষয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি আর্কষণ করা হয়ছে সরকার ও বিরোধীদলের নেতাদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে। সহিংসতা (ভায়োলেন্স) বন্ধে সরকার ও বিরোধীদলকে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক মহল ও সুশীল সমাজের পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট, মানবাধিকার পারিস্থিতির সরেজমিন পর্যবেক্ষণ, রোহিঙ্গা ও শ্রম অধিকার বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ সফর করছে ইইউ পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলটি।
বাংলাদেশে নিখোঁজ ও বিচার বহির্ভুত হত্যাকা-ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সেপ্টেম্বর’২০১৪ এর রেজুলেশন অনুযায়ী এ উদ্বেগের কথা সরকারকে জানিয়েছে দলটি।
ইইউ প্রতিনিধি দলটি বলেছে, বাক স্বাধীনতা জনগণের মৌলিক অধিকার। শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য তা আবশ্যকীয় উপাদান। এসময় তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।