!জাহিদুর রহমান ঃ-ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ-
ঝিনাইদহের শৈলকূপার (ঝিনাইদহ-শৈলকূপা সড়কের পাশে গাড়াগঞ্জ বাজার নামক ¯’ানে) গাড়াগঞ্জ বহুমুখী উ”চ বিদ্যালয়ের পুরাতন দ্বিতল ভবনটি অনেক বছর আগে থেকে (অকেজো) জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। দেয়ালে একাধিক ¯’ানে বড় বড় ফাঁটল।বিদ্যালয়ের পুরনো দ্বিতল ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অব¯’ায় দারিয়ে আছে বছরের পর বছর । বিদ্যালয়ের পুরনো দ্বিতল ভবনটি সাথে পাঁচটা দোকান আছে সব ভাড়া দেয়া। একান্ত উপায়হীন হয়ে যারা এই ভবনের পাশে দোকান ভাড়া নিছেন তারা সকলেই বিদ্যালয়ের পুরনো দ্বিতল ভবনটি ধসে পড়ার আশংকায় দিন কাটান । এব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তা কারোরই কোন মাথাব্যাথা নেই। কিš‘ এভাবে চলতে থাকলে বিদ্যালয়ের পুরনো দ্বিতল ভবনটি ধসে ছাত্র ছাত্রী ও পথচারীদের প্রাণহানি ঘটতে পারে। তবে তার আগেই ছাত্র ছাত্রী ও পথচারীদের রক্ষার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের টনক নড়া উচিত বলে মনে করছেন এলাকাবাসিরা ।বর্তমানে বিদ্যালয়ের পুরনো দ্বিতল ভবনটি একেবারে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে তার পরেও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার নামে কোচিং খুলে ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস করান। ছাত্র ছাত্রীরা জানালেন, ফাঁটলের ফলে দেয়ালগুলো দিকে চোখ গেলে মনে ভয় চলে আসে। অনুরধ করে বনলেন, আপনারা বিদ্যালয়ের পুরাতন দ্বিতল ভবনটির ছবি তুলে সরকারকে দেখান। অভিযোগ রয়েছে, জরাজীর্ণ ও ফাঁটল ধরা বিদ্যালয়ের পুরনো দ্বিতল ভবনটি বছরের পর বছর ধরে এভাবে পড়ে থাকলেও তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারি নেই।নির্মিত মেয়াদ উত্তীর্ণ বিদ্যালয়ের পুরনো দ্বিতল ভবনটি যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। এসব ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে, খুলে পড়ছে ছাদের বিভিন্ন অংশের চুন-সুরকি। বর্ষা বাদল দিনে ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের পুরাতন দ্বিতল ভবন টি ভেঙে ফেলে নতুন ভবন তৈরি করা বা সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করার কারণে যে কোন সময় ভবনগুলো ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি।বিদ্যালয়ের পুরনো দ্বিতল ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ছাত্র ছাত্রী ও পথচারীদের প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ভবনটির নিচে দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। এ ব্যাপারে দ্র“ত ব্যব¯’া নেয়া উচিত।
গাড়াগঞ্জ বহুমুখী উ”চ বিদ্যালয় (১৯৬২) কিছু তথ্যঃ
১৯৬২ সালের পূর্বে এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে একটা প্রাইমারী স্কুল এবং তারও পূর্বে ছিল একটি মাদ্রাসা। ১৯৬২ সালে আব্দুর রাজ্জাক, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, গাড়াগঞ্জ এর পৃষ্ঠপোষকতায়, মোঃ মনির“দ্দীন মোল্যা, শেখ মোঃ এহসান আলী, মোঃ হুজুর আলী বিশ্বাস, মোঃ নুর“ল ইসলাম, মোঃ আরশাদ আলী জরদার, মোঃ খোশাল জর্দার প্রমুখ বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গের সক্রিয় সহযোগিতায় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে গড়ে উঠে। ১৯৬৪ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। বিদ্যালয়টি বর্তমানে ৩.৬৮ একর জমির উপর ১২ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন, ২ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন ও টিন সেডের একটি বড় গৃহ নিয়ে অব¯ি’ত। প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোঃ আব্দুর রউফ (বি,এ)।
বিদ্যালয়টি এই এলাকার একটি উল্লেখযোগ্য বিদ্যাপীঠ।