কৃষক মামুন হোসেন সকাল আটটা থেকে ৫০ কেজি বেগুনভর্তি একটা ঝুড়ি নিয়ে যশোরের বারীনগর পাইকারি সবজি মোকামে বসে আছেন। ১০টা ৩৫ মিনিটে একজন ব্যাপারী এসে বললেন, ঝুড়ি কত? ৩৫০ টাকা দাম চাইতেই মুখ কুঁচকে ব্যাপারী জানালেন ১০০ টাকা। পরে ঝুড়ির সব বেগুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হলো।
বেগুন বেচে কত লাভ হলো—জানতে চাইলে মামুন হোসেন বলেন, ৫০ কেজির ঝুড়ি নওদাগ্রামের খেত থেকে বারীনগর হাটে আনতে ভ্যান ভাড়া লেগেছে ৪০ টাকা। খেত থেকে বেগুন তুলতে ১০০ টাকার শ্রম আর আগে বালাইনাশক ছিটাতে খরচ হয়েছে ১২০ টাকা। মোট খরচ ২৬০ টাকা। বিক্রি হলো ১৮০ টাকায়। দেখা চোখে লোকসান ৮০ টাকা। সারা বছরের সেচ ও নিড়ানোর খরচ বাদ দিয়ে হিসাবটি দেন মামুন হোসেন।
মামুনের মতোই অবস্থা এখানকার অন্য চাষিদেরও। তাঁরাও হাটে গিয়ে উৎপাদন মূল্যের চেয়ে কম দামে সবজি বিক্রি করে দিচ্ছেন।
তেমনই আরেকজন উজ্জ্বল বিশ্বাস। বারীনগর মোকামে ওজন ছাড়াই দুই ঝুড়ি বেগুন তিনি বিক্রি করে দিলেন মাত্র ১২০ টাকায়। উজ্জ্বল জানান, দুই ঝুড়িতে তাঁর ৬০ কেজি বেগুন ছিল। সে হিসাবে, প্রতি কেজি বেগুন দুই টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
কারণ জানতে চাইলে উজ্জ্বলের জবাব, সকাল থেকেই বসে আছি। দুই ঘণ্টায় কোনো ব্যাপারীর দেখা পাইনি। কতক্ষণ আর বসে থাকব। তাই লোকসান হলেও বিক্রি করে দিলাম।
উজ্জ্বলের ওই বেগুন কিনেছেন আমজাদ আলী। হৈবতপুর বাজারের তিনি একজন খুচরা সবজি বিক্রেতা। জানালেন, খুচরা ৯-১০ টাকা দরে এই বেগুন বিক্রি হবে। ব্যাপারী তেমন আসেনি বলে একটু কম দামে কিনতে পারলেন তিনি।
আরও কয়েকজন সবজিচাষির কাছে কম দামে বিক্রির কারণ জানতে চাইলে তাঁরা জানান, হাট থেকে বেগুন ফিরিয়ে নিলে তাতে আরও লোকসান হতো। উপায় নেই বলেই তাঁরা কম দামে সবজি বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাঁরা জানান, টানা অবরোধ-হরতালের কারণে হাটে ব্যাপারী অনেক কম। অন্যদিকে, বাজারে বেগুনের সরবরাহ অনেক বেশি। যে কারণে দুই থেকে পাঁচ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁদের।
ওই মোকামের ব্যাপারী নুরুন্নবী জানান, বেগুন ছাড়া তেমন কোনো সবজি হাটে ওঠেনি। আবার হরতাল-অবরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজি পাঠানো অনেক ঝক্কি-ঝামেলার ব্যাপার। সে কারণে ব্যাপারীরা হাটেও কম আসছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের উপপরিচালক নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস কৃষক মামুন হোসেন সকাল আটটা থেকে ৫০ কেজি বেগুনভর্তি একটা ঝুড়ি নিয়ে যশোরের বারীনগর পাইকারি সবজি মোকামে বসে আছেন। ১০টা ৩৫ মিনিটে একজন ব্যাপারী এসে বললেন, ঝুড়ি কত? ৩৫০ টাকা দাম চাইতেই মুখ কুঁচকে ব্যাপারী জানালেন ১০০ টাকা। পরে ঝুড়ির সব বেগুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হলো।
বেগুন বেচে কত লাভ হলো—জানতে চাইলে মামুন হোসেন বলেন, ৫০ কেজির ঝুড়ি নওদাগ্রামের খেত থেকে বারীনগর হাটে আনতে ভ্যান ভাড়া লেগেছে ৪০ টাকা। খেত থেকে বেগুন তুলতে ১০০ টাকার শ্রম আর আগে বালাইনাশক ছিটাতে খরচ হয়েছে ১২০ টাকা। মোট খরচ ২৬০ টাকা। বিক্রি হলো ১৮০ টাকায়। দেখা চোখে লোকসান ৮০ টাকা। সারা বছরের সেচ ও নিড়ানোর খরচ বাদ দিয়ে হিসাবটি দেন মামুন হোসেন।
মামুনের মতোই অবস্থা এখানকার অন্য চাষিদেরও। তাঁরাও হাটে গিয়ে উৎপাদন মূল্যের চেয়ে কম দামে সবজি বিক্রি করে দিচ্ছেন।
তেমনই আরেকজন উজ্জ্বল বিশ্বাস। বারীনগর মোকামে ওজন ছাড়াই দুই ঝুড়ি বেগুন তিনি বিক্রি করে দিলেন মাত্র ১২০ টাকায়। উজ্জ্বল জানান, দুই ঝুড়িতে তাঁর ৬০ কেজি বেগুন ছিল। সে হিসাবে, প্রতি কেজি বেগুন দুই টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
কারণ জানতে চাইলে উজ্জ্বলের জবাব, সকাল থেকেই বসে আছি। দুই ঘণ্টায় কোনো ব্যাপারীর দেখা পাইনি। কতক্ষণ আর বসে থাকব। তাই লোকসান হলেও বিক্রি করে দিলাম।
উজ্জ্বলের ওই বেগুন কিনেছেন আমজাদ আলী। হৈবতপুর বাজারের তিনি একজন খুচরা সবজি বিক্রেতা। জানালেন, খুচরা ৯-১০ টাকা দরে এই বেগুন বিক্রি হবে। ব্যাপারী তেমন আসেনি বলে একটু কম দামে কিনতে পারলেন তিনি।
আরও কয়েকজন সবজিচাষির কাছে কম দামে বিক্রির কারণ জানতে চাইলে তাঁরা জানান, হাট থেকে বেগুন ফিরিয়ে নিলে তাতে আরও লোকসান হতো। উপায় নেই বলেই তাঁরা কম দামে সবজি বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাঁরা জানান, টানা অবরোধ-হরতালের কারণে হাটে ব্যাপারী অনেক কম। অন্যদিকে, বাজারে বেগুনের সরবরাহ অনেক বেশি। যে কারণে দুই থেকে পাঁচ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁদের।
ওই মোকামের ব্যাপারী নুরুন্নবী জানান, বেগুন ছাড়া তেমন কোনো সবজি হাটে ওঠেনি। আবার হরতাল-অবরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজি পাঠানো অনেক ঝক্কি-ঝামেলার ব্যাপার। সে কারণে ব্যাপারীরা হাটেও কম আসছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের উপপরিচালক নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস স্বদেশ নিউজ ২৪ ডট কমকে বলেন, ‘সপ্তাহে দুই দিন বারীনগরে বেচাকেনা কম হয়। ওই দুই দিন ঝিনাইদহের বারোবাজারে সবজির হাট জমে। ব্যাপারীরা বেশির ভাগ হয়তো ওই হাটে ছিল।’
নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস জানান, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যশোর থেকে সারা বছর সাড়ে নয় লাখ মেট্রিক টন সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।, ‘সপ্তাহে দুই দিন বারীনগরে বেচাকেনা কম হয়। ওই দুই দিন ঝিনাইদহের বারোবাজারে সবজির হাট জমে। ব্যাপারীরা বেশির ভাগ হয়তো ওই হাটে ছিল।’
নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস জানান, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যশোর থেকে সারা বছর সাড়ে নয় লাখ মেট্রিক টন সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।