স্বদেশ২৪ডট কম ঃ বেশ কিছুদিন হলো। একদম ঘুমাতে পারছেন না পরী। চোখের নিচে কালি পড়তে শুরু করেছে। দু-একটি ঘুমের ওষুধও নাকি খাচ্ছেন। অথচ কাজ হচ্ছে না! কিন্তু এই ঘুম না আসার পেছনে কারণ কী? নিজেই বললেন পরী, ‘ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি মুক্তি পাচ্ছে। তার ওপর আবার দেশের অবস্থা খারাপ, হরতাল-অবরোধে যাচ্ছেতাই। ঘুম আসার কি কোনো কারণ আছে! আমার পেছনে প্রযোজক কোটি টাকা লগ্নি করেছেন। এই ছবির ওপর নির্ভর করছে চলচ্চিত্রে আমার ভবিষ্যৎ। কী করে ঘুমাব!’
‘সীমাহীন ভালোবাসা’ যেমন পরীর প্রথম মুক্তি পেতে যাওয়া ছবি, তেমনি ক্যারিয়ারে প্রথম চুক্তিবদ্ধ হওয়া ছবিও ছিল এটি। ফলে ছবিটিকে ঘিরে অন্য রকম ভালোবাসা তাঁর। এখনো চোখে ভাসে সেদিনের কথা। তখন প্রতিদিনই কোনো না কোনো পরিচালকের সঙ্গে কথা চলছে পরীর। অনেকে আশ্বাসও দিচ্ছেন; কিন্তু ছবি কেউ শুরু করেন না। চরম হতাশা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন চলচ্চিত্রের পেছনে আর সময় নষ্ট করবেন না। নাটক, টেলিফিল্ম আর মডেলিংই করবেন। এরই মধ্যে পরিচালক শাহ আলম মণ্ডলের ফোন। তিনি পরীর সঙ্গে দেখা করতে চান। খুব একটা আগ্রহ পাচ্ছিলেন না, তবু দেখা করলেন শাহ আলমের সঙ্গে। সেদিনই শাহ আলম তাঁকে চুক্তিবদ্ধ করে ফেললেন! ক্যামেরা ওপেন হতে হতেই পরীর হাতে জমতে শুরু করল একের পর এক ছবি। আর এখন তো ২৮ ছবির নায়িকা তিনি! বিষয়টি ভেবে নিজেও মাঝেমধ্যে অবাক হন। বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম সব কিছু আস্তে আস্তে হোক। কিন্তু এক বছরের মধ্যে এত কিছু হয়ে যাবে, চিন্তাও করিনি। অনেকে বলেন, আমি নাকি রেকর্ড করেছি। কোনো ছবি মুক্তির আগেই ২৮ ছবি-এর আগে ইন্ডাস্ট্রির কোনো নায়িকার বেলায় নাকি ঘটেইনি। বিষয়টি একদিকে যেমন খুশির, অন্যদিকে দুশ্চিন্তারও। কেউ কেউ আমাকে হুঁশিয়ার করছেন। তাঁরা শাকিল খানের উদাহরণ টেনে বলছেন, ছবি মুক্তির আগে তিনিও নাকি ১৮ ছবির নায়ক ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি। জানি, এমন হুঁশিয়ারকারীরা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। আমি তাঁদের উপদেশ মেনে চলার চেষ্টা করছি। তবু আশা করছি, আমার বেলায় অন্তত অন্যদের মতো হবে না।’
‘সীমাহীন ভালোবাসা’ ছবিতে পরীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন জায়েদ খান ও আনিসুর রহমান মিলন। এর আগে মিলনের ‘দেহরক্ষী’, ‘পোড়া মন’ ও ‘অনেক সাধের ময়না’ ব্যবসাসফল। সেদিক থেকে বেশ খানিকটা নিশ্চিন্তে আছেন পরী। ডাবিংয়ের সময় পুরো ছবিটি দেখেছেন। পরীর ভালোই লেগেছে। দর্শকদেরও ভালো লাগবে বলে পরীর বিশ্বাস। এর পরও একটু দুশ্চিন্তা তো থেকেই যায়। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে বেশ বিপদেই পড়বেন বলে মনে করছেন পরী।