লেখক ও ব্লগার অভিজিৎকে হত্যার ২ ঘণ্টার মধ্যে আনসার বাংলা সেভেন নামের একটি একাউন্ট থেকে স্বীকারোক্তিমূলক টুইট করা হয়েছে।
টুইটার বার্তাটিতে লেখা আছে, অ্যান্টি-ইসলামিক ব্লগার ইউএস বেঙ্গলি সিটিজেন অভিজিৎ রায় ইজ অ্যাসেসিনেটেড ইন ঢাকা ডিউ টু হিজ ক্রাইম অ্যাগেইন্সট ইসলাম।
অপর একটি টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, জয় নোজ নো বাউন্ডস, ভিআইপি টার্গেট ইজ ডাউন ইন ঢাকা।
অভিজিতের সহযোদ্ধারা জানান, অনেক আগে থেকেই মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়কে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত লেখালেখিই হত্যার মূল কারণ। ব্লগার রাজীব হত্যার সাথে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত ফারাবীও হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন অভিজিৎকে।
হুমকির প্রমাণ রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ২ বছর আগে ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ফারাবী শফিউর রহমান। রাজীব হায়দারের জানাজা পড়ানো ইমামকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। পরে জামিনে ছাড়া পান ফারাবী।
ফারাবীর ফেসবুক একাউন্টের ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, অভিজিৎ রায় দেশে ফিরলেই তাকে হত্যা করা হবে।
সেই স্ট্যাটাসে একমত পোষণ করে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। এমনকি ফারাবীর হুমকির কারণে অনলাইনে বই বিক্রির ওয়েবসাইট রকমারি ডট কম থেকে অভিজিতের একটি বইয়ের নাম সরিয়ে নেওয়া হয়।
অভিজিৎ হত্যায় জঙ্গি সম্পৃক্ততার সব ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সহকারী পুলিশ কমিশনার শিবলী নোমান। তিনি বলেন, এই হত্যার সঙ্গে মৌলবাদী চক্রের জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি চত্বরের কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয় লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে। এসময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা গুরুতর আহত হন। ২০০৪ সালে একই স্থানে কুপিয়ে জখম করা হয় মুক্তমনা সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদকে। ২০১৩ সালে মিরপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার রাজীব হায়দারকে। এর প্রতিটি ঘটনায় অনলাইনে আগে থেকেই হুমকি দেওয়া হয়েছে।