আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকে: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একটি পোল্ট্রি ফিডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগানোকে কেন্দ্র করে ২ যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় পোল্ট্রি ফিডের বিভিন্ন ওষুধ নষ্ট ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা বন্দরের ডিবি রোড়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জখমীরা হলেন, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতগিরি গ্রামের হবিবর রহমানের পুত্র শাজাহান মিয়া (২৮) ও একই গ্রামের ফয়জারের পুত্র আনারুল ইসলাম (৩০)। গুরুত্বর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছামিউল ইসলাম নামের এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে বামনডাঙ্গা ডিবি রোডে একটি ভাড়া ঘরে পোল্ট্রি ফিডের ব্যবসা করে আসছিলেন। মনমথ গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের পুত্র লিবন মিয়া ওই ঘরের জমি নিজের দাবি করে গত সোমবার তালা লাগিয়ে দেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ মতিনের হস্তক্ষেপে ঘরের তালা খুলে দিয়ে উভয়কে শুক্রবার বাদ জুমা কাগজপত্র নিয়ে তার পরিষদে ডাকা হয়। এতে ছামিউল ইসলাম উপিস্থিত হলেও লিবন মিয়া উপিস্থিত হননি। পরে রাত ৯টার দিকে লিবন মিয়া তার লোকজন নিয়ে পোল্ট্রির ঘরে পুনরায় তালা লাগানোর জন্য গেলে ছামিউল, তার ঘরে থাকা শাহজাহান ও আনারুল বাধা দেন। এ সময় লিবন মিয়া ও তার লোকজন শাহজাহান ও আনারুল মিয়াকে কুপিয়ে জখম করে পোল্ট্রি ফিডের বিভিন্ন ওষুধ নষ্ট ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পোল্ট্রি ফিড দোকানের মালিক ছামিউল ইসলাম জানান, ভাঙচুরের ঘটনায় ওষুধসহ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লক্ষাধিক টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে। অভিযুক্ত লিবনের সঙ্গে কথা হলে তিনি মারপিটের বিষয়টি স্বীকার করলেও ভাঙচুর ও ওষুধ নষ্টের বিষয়টি অস্বীকার করেন। বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বিরোধপূর্ণ পোল্ট্রি ফিডের ঘরটি তালা দিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে রাত পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি বলেও জানান তিনি।