বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা সচলের জন্য ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী আবেদন করায় বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। খালেদার পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রায়ের দিন পেছান।
গত ৫ মার্চ দুদকের পক্ষে শুনানি শেষে আদালত এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১০ মার্চ দিন ঠিক করেছিলেন। তবে সেখানে খালেদার পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করেননি।
এরপর গত ৮ মার্চ খালেদার পক্ষে শুনানির জন্য আবেদন করায় দিন পিছিয়ে ১৫ মার্চ ধার্য করা হয়।
খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা বড়পুকুরিয়া মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া রুলের নিষ্পত্তি চেয়ে দুদক আবেদন করেছিল। এরপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
১/১১ এর জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে।
শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এতে চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মরহুম), অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মরহুম), শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া।
২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন।
একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না জানতে চেয়ে সরকারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়ে রুলও জারি করেন।পরবর্তী সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
–