ঝিনাইদহ শহরের কুষ্টিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকার সততা ডায়াগোনষ্টিক নামে একটি প্যাথলজিক্যাল ক্লিনিক থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার সময় হাতেনাতে নজরুল ইসলাম (৪২) নামে এক কলেজ শিক্ষকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহ শিশুকুঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের কৃষি বিষয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম শহরের আরাপপুর মাষ্টার পাড়ার মৃত রজব আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের ছলনা করে নারীদের সম্ভ্রমহানী করতেন।
গ্রেফতারকৃত অন্যান্যরা হলেন, শহরের কুষ্টিয়া বাসষ্ট্যন্ড এলাকার সততা ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারের মালিক আরাপপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে আকরামুজ্জামান, শৈলকুপার ভাটই বাজারের আনসার আলীর মেয়ে তুলি খাতুন ও হরিণাকুন্ডুর গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আবু বকরের ছেলে আবুহান।
ঝিনাইদহ সদর থানার উপ-পরিদর্শক সালাহউদ্দীন জানান, রোববার ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার সততা ক্লিনিকে নজরুল ইসলাম এক যুবতীকে নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি আরো জানান, এলাকাবাসি বিষয়টি জানতে পেরে কলেজ শিক্ষক নজরুলসহ চারজনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাবুদ্দীন আজাদ জানান, অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের শিশুকুঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সফিকুল বাশার জানান, তিনি বিষয়টি জানতে পেরে কলেজের সভাপতিকে অবহিত করেছেন। ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য কলেজের কৃষি বিষয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম একজন দুঃশ্চরিত্র প্রকৃতির লোক। তিনি বহু ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে শ্লিলতাহানী ঘটিয়েছেন। বিশেষ করে কৃষি পরীক্ষার খাতায় মার্কস দেবার নাম করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতেন। এছাড়া কৃষি শিক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষায় জোর পুর্বক টাকা আদায় করে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে বিতর্কিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় বহু খবর প্রকাশিত হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন টাকা ছাড়া লম্পট শিক্ষক নজরুল ইসলাম কৃষি শিক্ষায় কোন নাম্বার দিতেন না। অনেকটা জোর করেই তিনি টাকা আদায় করতেন।