কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস: বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের পূর্ব কুতুবপুর গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. আলমগীরসহ ১০-১২ জনের বাড়িতে হানা দিয়ে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও ভাংচুর করেছে। এতে ফয়সাল নামে নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত ফয়সালকে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামবাসী জানায়, সাতবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ সমর্থক ওমর ফারুক রাসেলের নেতৃত্বে ৪০-৪৫ জনের সশস্ত্র দলটি গতকাল বিকেলে আলমগীরের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণের পাশাপাশি অন্তত ১০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে বাজিতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ছারোয়ার আলম, ইউএনও শারজিল হাসান ও থানার ওসি সুব্রত কুমার সাহা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মো. টিকুল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। হালিমপুর ইউনিয়নের সরকারি চাপাডাঙ্গা বিলে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করায় তিতুমীর ওরফে টাইগারের নেতৃত্বে স্থানীয় একদল যুবক ২০ মার্চ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলমগীরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর পর আলমগীরের পক্ষের লোকজন তিতুমীরসহ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় এক নারীসহ কয়েকজন আহত হন। সে সময় প্রতিপক্ষের লোকজন আলমগীরকে আসামি করে থানায় দুটি মামলা করে। মো. আলমগীর জানান, দু’দিন ধরেই সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়িঘরে হামলার পরিকল্পনা করছিল। পুলিশকে এ তথ্য দেওয়ার পরও তারা তৎপর হয়নি। তার অভিযোগ, পুলিশ প্রতিপক্ষের একাধিক মামলা রেকর্ড করলেও তাদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা নিতে রাজি হয়নি। মূল অভিযুক্ত ওমর ফারুক রাসেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সতীশ দাস রাজীব জানান, ফয়সালের মাথায় গুলি লেগেছে। বাজিতপুর থানার ওসি সুব্রত কুমার সাহা হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে গুলির ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। স্কুলছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।