মহান আল্লাহ মানবজাতিকে নর ও নারীরুপে সৃষ্টি করেছেন। তারা একে অপরের সহায়ক পরিপুরক এবং একে অন্যের উপর নির্ভরশীলও বটে। তাই আল্লাহ পাক বলেন তোমরা তাদের ভুষন এবং তারাও তোমাদের ভুষন (সুরা আল বাকারা: ১৮৭)
আর কুরআন পাকে আল্লাহ স্পষ্ট বলেছেন : মুমিন পুরুষ ও নারী একে অপরের বন্ধু। (সুরা তাওবাহ: ৭১)
আল্লাহর রাসুল নবী করিম (সা:) বলেন “দুনিয়ার সব কিছুই উপকারী, তবে সবচেয়ে উপকারী হলো নেককার স্ত্রী (মুসলিম, কিতাবুর বিদাআহ, হাদীস নং – ২৬৬৮) নারীদের সংখ্যা বিশ্বে প্রায় ৪০০ কোটির বেশি হবে। আমাদের বাংলাদেশের মা বোনদের জানাতে চাই যে, আমাদের মা বোনরা আজ বিভিন্ন দিক দিয়ে অসম্মানিত ও নির্যাতিত। কারণ আমাদের মা বেনাদেরও বোঝার ভুল রয়েছে, মা বোনদের জন্য পর্দাশীল থাকা, নামাজ কায়েম করা, অল্প বয়স থেকে আদব চরিত্র ও সম্মান ঠিক রাখার ব্যাপারে জ্ঞান রাখা ও স্বামী ছাড়া অন্য কোন পুরুষ সম্পর্কে চিন্তা না করা। আমাদের দেশে বেশির ভাগ মা বোনরা তাদের পর্দাশীলতার মর্যদা সর্ম্পকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। হাদিসে এসেছে
উসামা ইবনে যায়েদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী করীম (সা:) বলেছেন আমি জান্নাতের গেটে দাড়ালাম, দেখলাম যারা তাতে প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশ ছিল দুনিয়াতে দরিদ্র অসহায়। আর ধনী ও প্রভাবশালীদের আটকে দেয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে যাদের জাহান্নআমে যাওয়ার ফয়সালা হয়ে গেছে তাদের কথা আলাদা। আর আমি জাহান্নামের প্রবেশ পথে দাড়ালাম। দেখলাম, যারা প্রবেশ করেছে তাদের অধিকাংশ নারী। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)।
এদানিং এই নারীদের এই পর্দাশীলতা ও লজ্জা ডেকে না চলার জন্য তারা পদে পদে বিপদের সম্মখিন হচ্ছে ও সংসার বিচ্ছেদ ঘটছে। আমাদের বাংলাদের শাসন ব্যবস্থায় কিছুটা হলেও ইসলামীক শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করা দরকার। আমাদের দেশে পর্দাশীলতা (বোরখা, হিজাব) পরা মা বোনদের জন্য বাধ্যতামূলক করা উচিত। আমাদের মা বোনরা যদি ঈমানদার ও চরিত্রবান, পরহেজগার হয় তবে তাদের পরবর্তী বংশধরদের জন্য রহমত বয়ে আনে। সম্মান দানের ক্ষেত্রে মাকে তিন গুন বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, হাদিসে এসেছে: “আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ, মানুষের মধ্যে সদাচরণ পাওয়ার সবচেয়ে বেশি হকদার কে ? তিনি বলেন তোমার মা, তোমার মা, তোমার মা, তারপর তোমার পিতা, তারপর পর্যায়ক্রমে নিকটবর্তীগন (মুসলিম, কিতাবুর বিরবি ওয়াস সিলাহ, হাদিস নং – ৪৬৬২২)
আহসানুল হারুন এলিন
অর্থ-সম্পাদক
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র জোট