আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধায় গত শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বয়ে যাওয়া আকস্মিক ঘুর্ণিঝড়ে জেলার সাত উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় ৫ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি, অসংখ্য গাছপালা, বৈদ্যুতিক পোল, উঠতি বোরো ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের নলছিড়া চরে পিয়াজ ক্ষেতে কাজ শেষে নৌকাযোগে বাড়ি ফেরার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে স্বামী-স্ত্রীসহ একটি নৌকা ডুবে যায়। এসময় সাঁতরে স্বামী আমিনুল ইসলাম পাড়ে উঠলেও স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪২) নিখোঁজ হন। গতকাল রোববার সকালে নলছিড়া ঘাটে মরিয়ম বেগমের লাশ পাওয়া যায়। অপরদিকে ঝড়ের সময় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের লখিয়ারপাড়া গ্রামে জনৈক খলিলুর রহমানের বাড়ির রান্না ঘর থেকে আগুন বাতাসে উড়ে গিয়ে বসতঘরে লাগে। এতে খলিলুর রহমানের ২টি এবং প্রতিবেশী নবীর হোসেনের ১টি ঘর আসবাবপত্রসহ আগুনে পুড়ে যায়।
জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে আকস্মিক ঘুর্ণিঝড় শুরু হয়। দীর্ঘ ৩০ মিনিট ঘুর্ণিঝড় চলাকালে গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, পলাশবাড়ি ও সদর উপজেলার ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, সহস্রাধিক গাছপালা, উঠতি বোরো ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়া গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি ৩৩ হাজার কেভিএ বিদ্যুৎ লাইনের খুটি উপড়ে যাওয়ায় সমস্ত গাইবান্ধা শহর শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের পাশের একাধিক বৈদ্যুতিক পোলসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়ায় জেলার অন্য উপজেলাগুলোও বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৫টায়) গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়নি। কখন বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হবে সে তথ্য দিতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।