চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭১৯টির মধ্যে ৫৯৫টি ভোটকেন্দ্রেকেই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
এসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ দেয়ার পাশাপাশি বাইরে সার্বক্ষণিক ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
এর মধ্যে নগরীর চারটি থানা এলাকার সব ভোটকেন্দ্রকেই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। থানাগুলো হচ্ছে, কোতয়ালি, বায়েজিদ বোস্তামি, চকবাজার এবং আকবর শাহ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে পুলিশ। এগুলো হচ্ছে, অতীতে কোন সংঘাত-দখল কিংবা ব্যালটবাক্স ছিনতাই হয়েছে কিনা, কেন্দ্র প্রার্থীর বাড়ির আশেপাশে কিনা এবং ভোটকেন্দ্রের উপর প্রার্থীদের প্রভাব কেমন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মোট ৭১৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে নগরীর ১৫ থানা এলাকার মধ্যে পড়েছে ৭০৭টি কেন্দ্র। বাকি ১২টি কেন্দ্র হাটহাজারী উপজেলায়। ৭০৭টি কেন্দ্রের মধ্যে নগর পুলিশ ৫৯১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর জেলা পুলিশ ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মোহা.আব্দুল জলিল মন্ডল বলেন, ৭১৯টি কেন্দ্রের মধ্যে আমরা ৫৯৫টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ মানেই যে সংঘাতের আশঙ্কা আছে তা নয়। এরপরও আমরা অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স দেব। প্রত্যেক কেন্দ্রে র্যাব পুলিশ, বিজিবি, আনসার স্ট্যান্ডবাই রাখব।
পুলিশ সূত্রমতে, কোতয়ালি থানা এলাকায় একজন মেয়র প্রার্থীর পৈতৃক নিবাস। তার বাড়ির সামনেই একটি ভোটকেন্দ্র আছে। তার মূল নির্বাচনী ক্যাম্পও কোতয়ালি থানায়। কোতয়ালি থানার আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, রাজাপুকুর লেইন, রহমতগঞ্জ, দেওয়ানজী পুকুর পাড়, জামালখান, বদরপাতিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তরুণ-যুবকদের মধ্যে তার প্রভাব আছে। এ কারণে এসব এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত ভাবতে পারছেনা পুলিশ।
এছাড়া ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে ঘিরে বায়েজিদ ও আকবর শাহ থানা এলাকায় ওই মেয়র প্রার্থীর বেশ প্রভাব আছে। সম্প্রতি শেরশাহ এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলমের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে। স্বাভাবিক সময়েও এ দু’টি এলাকায় প্রায়ই রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এ দু’টি থানা এলাকায়ও নির্বাচনের দিন সংঘাত হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
এছাড়া জামায়াত অধ্যুষিত নগরীর চকবাজার থানা এলাকার ২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
সিএমপি কমিশনার জানালেন, সব ভোটকেন্দ্রেই চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশ ও সশস্ত্র আনসার মিলিয়ে ১০ জন করে বাড়তি ফোর্স দেয়া হবে।
তফসিল অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে.