ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্পের ১ লাখ টাকা আত্মসাতে অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৩ ওয়ার্ডের মেম্বার মাহফুজুর রহমান লাকী লিখিতভাবে এ অভিযোগ দায়ের করেন। যার অনুলিপি প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে দেয়া হয়েছে। অভিযোগে জানাগেছে, একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের বারবাজার ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে ৬০ জন সদস্য রয়েছে। এই সদস্যদের কাছ থেকে আদায় করা স য়ের টাকা পাস বইতে জমা না করে সমিতির সভাপতি লিটন হোসেন ও ক্যাশিয়ার ছায়রা খাতুন ৪ মাসে ১ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এ নিয়ে সমিতির সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে ইউপি সদস্য মাহফুজুর রহমান লাকী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মানোয়ার হোসেন মোল্লার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সমিতির সদস্য মিঠা পুকুর গ্রামের আতিয়ার রহমান জানান, প্রত্যক সদ্যসের কাছ থেকে স য়ের টাকা নিয়ে যার যার পাস বইতে তুলে দিয়ে ওই টাকা একটি বাড়ি একটি খাবার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারীর কাছে দিতে হয়। কিন্তু গত ৪ মাস সদস্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের পাস বইতে তুলে দেয়া হয়নি। সেই টাকা সমিতির সভাপতি লিটন হোসেন ও ক্যাশিয়ার ছায়রা খাতুন আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ১৮ জন সদস্য সমিতি থেকে ৫ হাজার টাকা করে লোন নেয়। তারা প্রত্যক্ষ মাসে লোনের টাকা বাবদ ৪৫০ টাকা এবং মাসিক কিস্তি বাবদ ২০০ টাকাসহ মোট ৬৫০ টাকা করে পরিশোধ করে আসছে। কিন্তু তাদের সে টাকা প্রকল্পের রেজিস্টারে জমা হয়নি। এমন কি তাদের পাস বইতেও তুলে দেয়া হয়নি। এছাড়া গত ৪ মাস যাবৎ ৬০ জন সদস্যদের কাছ থেকে ২০০ করে মোট ৪৮ হাজার টাকা আদায় করা হয়। সে টাকাও পাস বইতে তুলে না দিয়ে আত্মসাত করেছেন। তিনি আরো জানান, ১০ জনের কাছ থেকে এককালীন ৩ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাও আত্মসাত করেছেন। সর্বপরি তারা ১ লাখ টাকা সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে আদায় করে তা পাস বইতে জমা না করে আত্মসাত করেছেন। জমা দেয়ার টাকা কোথায় গেল তা সভাপতি ও ক্যাশিয়ারের কাছে সমিতির সদস্যরা জানতে চাইলে তারা কোন উত্তর না দিয়ে নানা তাল বাহানা করছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের কালীগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়কারী বদরুল আলম জানান, আজ সকালে খবর পেয়ে আমি সেখানে লোক পাঠিয়েছি। এ ঘটনার সাথে অফিসের কেউ জড়িত নেই। সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজাররা টাকা তুলে জমা দিয়ে থাকেন। যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটা সমাধান করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মানোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, আমি এখনো কোন অভিযোগ হাতে পায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখবো।