সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক শাখায় ডাকাতির ঘটনায় নিহত ৭ জনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১ টায় সাভার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দিনে দুপুরে ডাকাতির সময় ডাকাতদের বোমা ও গুলিতে ব্যাংক কর্মকর্তা, নিরাপত্তা রক্ষী ও এলাকাবাসী সহ ৮ জন নিহত হন। এ সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে নিহত হন এক ডাকাত।
এছাড়া ডাকাতদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। তাদের মধ্যে থেকে ১৬ জনতে আইসিউতে রাখা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানান যায় , দুপুর আড়াইটা দিকে মোটরসাইকেল যোগে ১২/১৫ জনের একদল ডাকাত গ্রাহকবেশে ওই ব্যাংকে প্রবেশ করে। এ সময় কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা ব্যাংকের অভ্যন্তরে ম্যানেজারসহ কর্মকর্তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। এক পর্যায়ে বোমা ও গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে লুটপাট শুরু করে ডাকাতরা। তাদের বেপরোয়া গুলি ও বোমায় ব্যাংকের অভ্যন্তরে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাখা ব্যবস্থাপক অলিউল্লাহসহ এক নিরাপত্তা কর্মী।
এদিকে ব্যাংকে ডাকাতির বিষয়টি পাশ্ববর্তী মসজিদ থেকে মাইকিং করা হলে পাশের বাজার ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ডাকাতদের ঘিরে ফেলে। এ সময় ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে ব্যাংকের সামনেই মারা যায় মুদি দোকানদার মনির হোসেন, ব্যাংকের গ্রাহক স্থানীয় একটি পোশাক শিল্পের কর্মকর্তা পলাশ ও ওয়ার্কশপ মালিক জিলুর।
ক্ষুব্ধ জনতা গুলি উপেক্ষা করে ডাকাতদের ধাওয়া দিলে ধরা পড়ে এক ডাকাত। ঘটনাস্থলেই গণপিটুনিতে মারা যায় সে। –