বুধবার সন্ধ্যা ও রাতে দুই দফা কালবৈশাখী ঝড়ে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কলেজ সহ সহস্্রাধিক কাচা ও টিনের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ।আম,লিচ,কলা বাগান ও বিভিন্ন গাছের ডাল ভাঙ্গা সহ পাকা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি ও বিদ্যুৎতের খুটি ভেঙ্গে পড়ায় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরাবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ও রাতে দুই দফা কালবৈশাখী ঝড় নলডাঙ্গা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় । এতে সোনাপাতিল ,তেঘড়িয়া,বাশিলা,পাটুল,হালতি ,খাজুরা,একডালা, মাধনগর,বাসুদেবপুর, ব্রক্ষপুর ,পীরগাছা সহ ২৫ গ্রামের সহ¯্রাধিক কাচা ও টিনের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।এছাড়া সোনাপাতিল মহিলা কলেজ ও মাধনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের টিনের চালা বিধ্বস্ত হয়েছে।ফলে খোলা আকাশের নিচে স্কুল ও কলেজ ছাত্রীরা ক্লাশ করছে। আম ,লিচু,কলা বাগান সহ শত শত গাছপালা ভেঙ্গে পরেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে আম বাগান মালিক ও কলা বাগান মালিক । আর হালতি বিলের ভুট্রা ও প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর বোরো পাকা আধা পাকা ধান শুয়ে পড়ে ঝরে গেছে । পল্লী বিদ্যুৎ অফিস জানিয়েছে, মাছদীঘা ,কুষ্ণপুরদীঘা ও নলডাঙ্গা বাজারে ৩টি বিদ্যুৎতের খুটি ভেঙ্গে পড়ায় বুধবার রাত থেকেই উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরাবরাহ বন্ধ রয়েছে। আর অর্ধশতাধিক আবাসিক গ্রাহকের মিটার ভেঙ্গে প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। জনবলের অভাবে গ্রাহক পর্যায়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে। প্রভাবে পরেছে ভোগান্তির কবলে হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক । কখন নাগাত বিদ্যুৎ লাইন চালু হবে তা নিশ্চিত করে বলতে না পারলোও ভেঙ্গে পড়া খুটি মেরামত ও বিদ্যুৎ লাইনের উপর পড়া অনেক গাছপালার ডাল ,বাশ সরানো হলেই লাইন চালু হবে । গত ৪ এপ্রিল বিকালে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আবারো উপজেলা বাসী কালবৈশাখীর ছোবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ।