আগামীকাল ২৮ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণের কার্যক্রম। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। গত কয়েকদিনে নগরীর বায়েজিদ, লালখান বাজার, কতোয়ালী ও ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকার দলীয় লোকজনের হামলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে নগরীতে।
নগরীবাসী ব্যালট বিপ্লব ঘটানোর প্রতিক্ষায় থাকলেও সবার মনে বিরাজ করছে এক ধরনের আতঙ্ক। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আদৌ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন অনেকে।
গত কয়েকদিনে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিপক্ষের উপর হামলা হয়েছে কয়েকবার। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোটার ও এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আসছে প্রতিনিয়ত। তার সাথে যুক্ত হয়েছে উড়ো খবর, নগরীতে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে ফেনী থেকে নিজাম হাজারীর প্রায় তিন হাজার সরকার দলীয় ক্যাডার প্রবেশ করেেছ চট্টগ্রামে এবং তারা ভোটের দিন সক্রিয় থাকবে।
গতকাল রোববার নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেছেন, নগরীর বিভিন্ন হোটেলে এখন অবস্থায় করছেন সরকারদলীয় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা।
গত কয়েকদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিরোধী দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মীদের উপর দফায় দফয় হামলা চালালেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো জামায়াত বিএনপির কর্মীদের হয়রানি করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না সাধারণ ভোটাররা।
তবে অনেকে মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি সঠিক ভূমিকা পালন করে তাহলে নগরীতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল শীর্ষ নিউজকে জানান, ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে অস্ত্রধারীসহ বারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাব ও বিজিবি টহল থাকবে।