ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আনসার ও ভিডিপি অফিসে নিয়োগ জালিয়াতি হয়েছে। আনসার ভিডিপির ডিউটিতে অন্তর্ভুক্ত ইবাদত হোসেনকে বাদ দিয়ে জনৈক নাসির হোসেন বহাল তবিয়তে চাকুরী করছে। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলিয়া পারভিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার ও নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়ন কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম সুরুজ ও দিগনগর ইউনিয়ন কমান্ডার সাজ্জাদ হোসেন যোগসাজসে এ ধরনের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, গত ১ ফেব্রয়ারী ২০১৫ তারিখে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট ঝিনাইদহ স্মারক নং ৪৪.০৩.৪০৪৪.০০২.১০.০০৯.১৫.৮১ আদেশ মোতাবেক সে সময় হরতালের ডিউটি দেয়া হয় আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নের গোসাইডাঙ্গা গ্রামের ১৭নং প্লাটুনের আনসার সদস্য ইবাদত হোসেনকে গাড়াগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডে দায়িত্ব পালনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। কিন্তুু তাকে না জানিয়ে ইউনিয়ন কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম সুরুজ ও তার আরেক সহযোগি ৩নং দিগনগর ইউনিয়ন কমান্ডার সাজ্জাদ হোসেন তার স্থলে শৈলকুপা মাঠপাড়ার জনৈক নাসির হোসেন নামে একজনকে নিয়োগ দিয়ে চুক্তি মোতাবেক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
নাসির হোসেন জেনে বুঝেই একটি জালিয়াত চক্রের খপ্পরে পা দিয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আনসার সদস্যরা জানান। গাড়াগঞ্জ মহাসড়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সেই সময়ে কর্মরত একাধিক আনসার সদস্য জানান, আনসার কমান্ডার সাজ্জাদ হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম সুরুজের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ হয়েছে, কিন্তু তারা ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অসহায় নিরিহ আনসার সদস্যদের নিকট থেকে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ হাতিয়ে থাকেন। বর্তমানে গাড়াগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় কোন ধরনের বিবাদ কিংবা আনসার সদস্যদের দায়িত্বের আওতাভুক্ত ঘটনার জন্য ইবাদত হোসেন দায়ী হবেন। একদিকে চাকুরীতে নিয়োগ পেয়েও অন্যলোকে ডিউটি করছে অপরদিকে ভবিষ্যৎ মামলা মোকর্দ্দমার ভয়ে সে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ইবাদত হোসেন জানান, দায়িত্বরত ইউনিয়ন কমান্ডার ও সাজ্জাদ হোসেন তাকে না জানিয়ে গোপনে অর্থ হাতিয়ে নাসির হোসেনকে অবৈধভাবে দায়িত্ব দিয়েছে। ঝিনাইদহের সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী-ঝিনাইদহ এফএম বদরউজ্জামান কর্তৃক স্বাক্ষরিত আদেশপত্রের ১২নং ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত আনসার সদস্য ইবাদৎ হোসেনের নাম বিদ্যমান থাকলেও অদ্যবধি নাসির হোসেনের নাম কোন তালিকায় সংযুক্ত হয় নাই। অবৈধভাবে আনসার সদস্যের ডিউটি করা নাসির হোসেন ইবাদতের নামে চাকুরী করে ও বেতন উত্তোলন করে আসছে। এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলিয়া পারভিন বলেন, ঘটনা সঠিক তবে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, সিরাজুল ইসলাম সুরুজ ও সাজ্জাদ হোসেন নামে দুইজন ইউনিয়ন কমান্ডারদের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এদিকে গোপনে তড়িঘরি করে নাম সংশোধনের জন্য সব রকম প্রক্রিয়া চালাতে উর্ধতন অফিসারদের নিকট দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন কর্মকর্তারা।