গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃপ্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের অর্থায়নে উপ-বৃত্তির টাকা গাইবান্ধার ফুলছড়ি ডিগ্রী কলেজের স্নাতক পর্যায়ের ১’শ৭৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে গত সোমবার বিতরণ করা হয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ সেশন ফি ও অ্যাপায়ন খরচ বাবদ প্রত্যক শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ৫শ’ টাকা করে মোঠ ৮৮ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা, কলেজ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের যোগসাজসে এ কর্মকান্ড চালিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসনীয় এই কার্যক্রমকে ব্যাহত করেছে।জানা যায়, ফুলছড়ি ডিগ্রী কলেজের স্নাতক পর্যায়ের ১’শ৭৬ জন শিক্ষার্থীর অনুকুলে উপ-বৃত্তির ৮ লক্ষ ৬২ হাজার ৪শ’ টাকা শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের অর্থায়নে বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রত্যক শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ ৪ হাজার ৯শ’ টাকা। কিন্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, কলেজ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ এবং ঘাট শাখা ফুলছড়ি অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।নাম প্রকাশ না করার সর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ব্যাংক রেজিষ্টারের প্রাপ্তি ফরমে ৪ হাজার ৯শ’ টাকার অনুকুলে স্বাক্ষর নিলেও আমাকে দিয়েছে ৪ হাজার ৪শ’টাকা। স্যারদের জিজ্ঞের করলে তারা বলেন সেশন ফি ও অতিথি অ্যাপায়ন খরচ বাবদ কেটে নেয়া হয়েছে। একই অভিযোগ ১’শ৭৬ জন শিক্ষার্থীর। সে হিসেবে ৮৮ হাজার টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়া হয়েছে । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,সরকারি ভাবে ওই কলেজের জন্য বাৎসরিক সেশন ফি বাবদ ১’শ৭৬ জন ছাত্রছাত্রীর অনুকুলে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৭২০ টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ফুলছড়ি ঘাট শাখা অগ্রণী ব্যাংক ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা প্রত্যক শিক্ষার্থীর হাতে উপবৃত্তির ৪ হাজার ৯শ’ টাকা বুঝে দিয়েছি। শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষকদের টাকা দেয় তাতে আমার করার কিছু নেই।তবে ফুলছড়ি ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ মোজহারুল হান্নান, উপাধ্যক্ষ আহসান হাবীব মন্ডল সজল সেশন ফি’র ৫শ’ টাকা কেটে নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রবও ৫শ’ টাকা কর্তন করার কথা স্বীকার করলেও কি কারণে অধ্যক্ষ টাকা কেটে নিচ্ছেন তা আমার জানা নেই।এ বিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃআরিফ উদ্দিন