বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ বরগুনা শহর বিভক্তকারীখাকদোন নদীতে ১৯৮৮ সনে মাছ বাজার সংলগ্ন নির্মিত ব্রীজটি বহুবার সংস্কারের পরেও ধ্বংসের শেষপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। বিপদ জনক অবস্থা বুঝতে পেড়ে কর্তৃপক্ষ গত কয়েকদিন আগে ব্রীজটির দুই প্রান্তে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে পাড়াপার বন্ধ করে দেয়। এ ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় অর্ধ লক্ষাধীক লোক আসা যাওয়া করে। ব্রীজটি বন্ধ করে দেওয়ার পর দুই পাড়ের মানুষের জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করে। বরগুনা জেলা পরিষদ থেকে সাপ্তাহিক ডাকের মধ্য দিয়ে চালু করা হয় খেয়া পাড়াপার। সুযোগ লুফে নেয় এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল। তারা প্রথম সপ্তাহে ১ লক্ষ ৮৫ হ্জাার টাকায় এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে ১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকায় ডাক গ্রহন করে। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে প্রথম সপ্তাহে প্রথম দিনেই ডাককারীরা আয় করেছে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুকি নিয়ে খেয়া পাড়াপার হচ্ছে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, পাড়াপারের জন্য জন প্রতি ৩ টাকা আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং এ শর্ত মেনে নিয়েই ডাক গ্রহিতারা ডাক গ্রহন করে। কিন্তু সকল মানুষের চোখ ফাকি দিয়ে তারা পাড়াপারের জন্য জন প্রতি আদায় করছে ৪ টাকা করে। এ বিষয়টি সাংবাদিকদের দৃষ্টি গোচর হলে তথ্যসংগ্রহে চ্যানেল-৯ এর বরগুনা প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল ইসলাম মিরাজ ও দেশ টিভির বরগুনা প্রতিনিধি রিয়াজ আহমেদ মুছাখেয়াঘাট গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা এবং ব্রীজ নির্মানে মন্থরগতির ছবি তুলতে গেল খেয়া ডাক কর্তৃপক্ষের লেলিয়ে দেয়া একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তাদের উপর হামলা চালায়।এ সময় সাইফুল ইসলাম মিরাজ মারাত্মক আহত হলে তাকে দ্রুত বরগুনা জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এছাড়া লাকুর তলা ব্রীজের উত্তর পাড়ের টেম্পু ষ্টান্ড মালিকরা তাদের লোকশান পোষানোর জন্য টেম্পুষ্টান্ডটি টাউন হল ব্রীজের উত্তর পাড়ে নিয়ে যায়।এতে খেয়া পাড়াপারের লোক জন কমে যাওয়ায় ডাককারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল দুপুরে মীর পরিবহন গাড়ীর ড্রাইভার মোঃ জহিরুলকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। তাকেও দ্রুত বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু‘টো ঘটনার ব্যাপারেই মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে। আহত জহিরুল এ প্রতিনিধি কে জানায়, সে গাড়ী নিয়ে ফুলঝুড়ি যাওয়া পথে লাকুরতলা ¯ুইজ এর উপরে ১০/১২ জন যুবক ধারাল অস্্র নিয়ে তাকে এলোপাথরী কুপিয়ে জখম করে। বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রিয়াজ হোসেন পিপিএম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। নেশাগ্রস্থ বখাটে সন্ত্রাসী শুভ নামের একটি সন্তাসীর নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে প্রচেষ্ট চলছে। পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সংশিষ্ট সকল বিভাগকে জরুরী নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ দিকে চ্যানেল নাইনের তরুণ সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম মিরাজের উপর হামলার ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে দৈনিক দ্বীপাঞ্চল সম্পাদক মোঃ মোশাররফ হোসেন, বরগুনা প্রেসক্লাব, জেলা প্রেস ক্লাব, জেলা রেডিও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও সম্পাদকসহ স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানিয়েছেন এবং জরুরী ভিত্তিতে প্রকৃত অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।