সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পাড়কোলা গ্রামে হাজার হাজার এলাকাবাসীর ব্যাতিক্রমী স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন,নিজস্ব অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে উপজেলার সবচেয়ে ব্যায়বহুল ৫তলা ফাউন্ডেশান বিশিষ্ট মুন্সী এমারত আলী জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সোমবার বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। পাড়কোলা গ্রামের আব্দুল হালিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর হাজার হাজার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা’ সকলের অংশগ্রহনে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ে উপজেলার সর্ববৃহৎ ঐ মসজিদটির ছাদ ঢালাইয়ের মাধ্যমে মসজিদটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। ব্যাতিক্রমী ঘটনা হিসাবে স্বেচ্ছাশ্রমে এবং দানের অর্থে সর্ববৃহৎ ওই মসজিদটি নির্মাণ করে পাড়কোলাবাসী বিরল এক নজির স্থাপন করেছে।গতকাল বিকেলে সরেজমিন পাড়কোলা গ্রাম পরিদর্শনকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ নূর হোসেন,সাধারণ সম্পাদক আব্দুছ ছাত্তার মোল্লা ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল হালিমসহ এলাকাবাসী জানায়,গত ১৯৯৭ সালে জরাজীর্ণ অবস্থায় মাত্র ৪ শতক জমির ওপর মসজিদটি স্থাপিত হয়। এলাকায় মুসুল্লী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসিবুর রহমান স্বপন ৫ তলা ফাউন্ডেশান বিশিষ্ট উক্ত মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর পর থেকে আব্দুল হালিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এলাকার যুবসমাজ ও সব বয়সের মানুষকে সাথে নিয়ে তিনি সেখানে উপজেলার সর্ববৃহৎ মসজিদটির কাজে হাত দেন।গতকাল মসজিদটির ৩৬শ’ স্কয়ারফুটবিশিষ্ট মসজিদটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সম্পন্ন করে।এ উপলক্ষে সকাল থেকেই সব বসয়ের হাজার হাজার গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে টানা বিকেল পর্যন্ত বৃহৎ মহতী মসজিদটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে। গত বছরের ২৮ নভেম্বর সর্বোচ্চো ব্যায়বহুল এ মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন । এলাকাবাসী আরও জানায়, আব্দুল হালিম যে ভাবে মসজিদটি নির্মাণে শ্রম দিয়েছেন তা বলে শেষ করা যাবে না। এ ব্যাপারে আব্দুল হালিম জানান, ভালো কাজের আনন্দই আলাদা। এলাকাবাসীর মসজিদ কেন্দ্রিক ভালোবাসাই তার মূল প্রেরণা জুগিয়েছে। ফলশ্র“তিতে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে তিনি বৃহৎ ওই মসজিদটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন।মসজিদটির নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা।তিনি এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।