ধামরাইয়ে ভ্যাপসা গরম আর তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গরম আর তাপদাহ তার উপর ঘনঘন লোডশেডিং যেন মরার উপর খরার ঘাঁ । প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হলকার মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই এতটুকু। শিশু ও বৃদ্ধরা গরমে কাবু হয়ে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। কর্মজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। ক্লান্তি দূর করতে কেউ পান করছেন ডাবের পানি, কেউবা খাচ্ছেন শসা, ক্ষীরা। বেড়ে গেছে শরবত ও কোমল পানীয় বিক্রির ধুম। পথের ধারের এই শরবত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রিহচ্ছে। তৃষণাত্ব মানুষের জন্য কতটুকো নিরাপদ এই শরবত তা যাচাইয়ের চেষ্টাও নেই । আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি বেড়েছে সূর্যের তাপ। এছাড়া আকাশে নেই কোনো মেঘের বলয়। এই গরম আরো কয়েকদিন থাকবে—এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই গরমে বেশিক্ষণ খোলা স্থানে থাকলে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। তাদের মতে, ভ্যাপসা গরমে দেহ থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। এ কারণে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে এবং প্রয়োজনে খাওয়ার স্যালাইন খেতে হবে। এ অবস্থায় লোকজনের প্রত্যাশা এক পশলা বৃষ্টির। কিন্তু তাপদাহে সেই কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা নেই। দরিদ্র পরিবারগুলো জানায়, এই তীব্র গরমে সারাদিন ঘাটুনির পর রাতের ঘুমও ঠিকমত হচ্ছে না।সন্ধা ৭টা থেকে শুরুহয় বিদ্যুতের লোডশেডিং তাচলে রাত ৩টা পযর্ন্ত এযেন আগুনে ঘি ঢালা । দিনমজুর অব্বাস,কছিমন ও শ্রিকান্ত জানান, অতিরিক্ত গরমে সারাদিন খাটা খাটুনির পরও যদি ঘরে গিয়ে একটু বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস পেতাম তাও জানটা বাঁচতো। খেটে খাওয়া অনেকে শ্রমিক কাজ না করে ঘরে বসে থাকছে অনেকে।
এমন গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। তবে গরমের কারণে সৃষ্ট রোগ থেকে বাঁচতে বেশি বেশি পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে ভ্যাপসা গরমের ফলে ও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে। তবে মশার উপদ্রব না কমলে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারিভাবে মশা নিধনের ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।