,নেপালে ৭.৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে হিমালয় পর্বতমালার একটি অংশের উচ্চতা হ্রাস পেয়েছে প্রায় এক মিটার। তবে ইন্ডিয়ান টেকটনিক প্লেটের সঙ্গে ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে হিমালয়ের উচ্চতা যে হারে বাড়ছিল তাতে এই উচ্চতা হ্রাস সমন্বয় হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, হিমালয় পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট যে অঞ্চলে অবস্থিত, কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা সেই অঞ্চলের ছবি এখনও বিশ্লেষণ করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। ফলে এভারেস্টের উপর ভূমিকম্পের কোনো প্রভাব পড়েছে কি না সেই বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তারা।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিকাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-এর ভূতত্ত্ববিদ ও গবেষক রিচার্ড ব্রিগসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত প্রধানত ল্যাংটাং হিমাল অঞ্চলের ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার এলাকার উচ্চতা হ্রাস পেয়েছে।
ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চলটির স্থানীয় জনসাধারণ ও পর্বতারোহীদের অনেকেই এখনও নিঁখোজ। এদের সিংহভাগ মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, হিমালয় পর্বতমালার আরও বেশ কিছু সংখ্যক পর্বতচূড়ার উচ্চতা হ্রাস পেয়েছে। এমনকি ল্যাংটাং রেঞ্জের পশ্চিমে অবস্থিত গণেশ হিমালের উচ্চতাও কমে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত কৃত্রিম উপগ্রহের যেসব ছবি বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করেছেন সেগুলো ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের ছবি বলেই জানিয়েছে বিবিসি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের পূর্বদিকে এভারেস্টের অবস্থান।
এভারেস্টের উচ্চতায় কোনো পরিবর্তন ঘটেছে কিনা সে বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে নিশ্চিত করতে হলে, স্থল জরিপ ও জিপিএস অথবা ‘এয়ারবোর্ন মিশন’-এ যেতে হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।