,আজ ১৭ই মে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৮১ সালের এই দিনে বিদেশে দীর্ঘদিনের নির্বাসন শেষে তিনি দেশে ফেরেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী কর্মকর্তা ও সৈনিকেরা ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা করে তাকেসহ তার পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে অবস্থান করায় ঘাতকদের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পান। পঁচাত্তর-পরবর্তী রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণেই দীর্ঘদিন বিদেশে নির্বাসিত ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫, ও ১৬ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলর অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তনয়া শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ই মে ঢাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণঢালা উষ্ণ সম্ভাষণ নিয়ে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে ফিরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। এসেই আওয়ামী লীগের হাল ধরেন তিনি। জড়িত হন সক্রিয় রাজনীতিতে। সেদিন শেরেবাংলা নগরে লাখ লাখ মানুষের সংবর্ধনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি; আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই। দলের হাল ধরার পর তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়। নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে হত্যার উদ্দেশে বেশ কয়েক বার হামলা চালানো হয়েছে। সব বাধা-ভয় উপেক্ষা করেই তিনি দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গতকাল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে আজ সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তরিত কর্মসূচি পালন করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৭ই মে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে দেশ ও জাতির কল্যাণ, গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য শেখ হাসিনার সুন্দর জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। এছাড়া, এ উপলক্ষে দেশব্যাপী দোয়া, মিলাদ মাহফিল, আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সকল স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।