নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৮৬ বছর বয়স্ক পঙ্গু, স্ত্রী-সন্তান স্বজনহারা এক বৃদ্ধার করুণ আর্তনাদ । চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন সংলগ্ন দক্ষিণ গোরস্থানপাড়ার বাইতুল ফালা জামে মসজিদের দেওয়ালের সাথে টিনশেডের নিচে একটি ভাঙ্গা চৌকিতে অবস্থানরত পঙ্গু মোঃ ইসমাইল হোসেন। মসজিদে আসা যাওয়ার সময় শত শত মুসুলিকে ডেকে প্রতিনিয়ত আর্তনাদ করতে থাকে “বাবা আমি এক পঙ্গু অসহায় মানুষ, আমার বয়স ৮৬ বছর আর কতো বছর বয়স হলে সরকার আমাকে বয়স্ক ভাতা দেবে; বলতে পারো বাবা? বৃদ্ধের পরিচয় জানতে চাইলে সে তার অশ্র“সিক্ত নয়নে তার দুঃখের বিবরণ দিতে থাকেন।তিন বছর আগে ভিটেমাটি স্বজন, স্ত্রী, সন্তানহারা পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার বাসিন্দা সদর হাসপাতালে ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনির সহযোগিতায় ভর্তি হন । ৪/৫ দিনের মাথায় বিশেষ তদারকি না থাকায় কে বা কারা রাত ১টার দিকে সদর হাসপাতাল থেকে ভ্যানযোগে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনের ১ নম্বার পাটফর্মের উত্তরে ফেলে রেখে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় সারারাত পড়েছিলেন । ফজরের নামাজ বাদ ওই স্থান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন বায়তুল ফালা জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ সাজাহান মোলা । তিনি বৃদ্ধার মুখে আওয়াজ শুনতে পান কে আছো বাবা আমাকে একটু পানি খাওয়াও । তাকে পানি খাওয়ায়ে প্রাথমিক সেবা দিয়ে বায়তুল ফালা মসজিদের মুসলিদের সাথে পরামর্শ করে মসজিদের দেওয়ালের সাথে থাকার স্থান তৈরি করা হয়। ওষুধ, পায়খানা প্রস্রাব খাওয়া দাওয়া সমস্ত তদারকি এই পর্যন্ত সাজাহান মোলা বহন করে আসছেন।বৃদ্ধার একটাই প্রশ্ন আমি এই গরিব মানুষের ঘাড়ে চড়ে তাকে আর কত কষ্ট দেবো ।শুনেছি সরকার আমার মত মানুষের অনেক সহযোগিতা করে থাকে।কই আমিতো কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি না ।গত তিন বছর ধরে সাজাহান মোলা চুয়াডাঙ্গা সমাজ সেবা অধিদপ্তরে ও কাউন্সিলরদের কাছে এই বৃদ্ধার আর্তনাদের কাহিনি তুলে ধরা সত্বেও গরিব বৃদ্ধ অসহায় পঙ্গুর পাশে এ যাবত কোনো গরিবের বন্ধুর দর্শন মেলেনি বলেই ব্যক্ত করলেন পঙ্গু মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন । নুন ফেন যা জোটে তাই খেয়েই টিক টিক করে ঘড়ির কাটা চলতে থাকে ৮৬ বছর পেরিয়ে ৮৭ তে পা রেখেছেন মোঃ ইসমাইল হোসেন ,তার একটিই দাবি ব্যবস্থা কি নেই ? আর কত বছর বয়স হলে সরকার আমাকে পঙ্গুত্ব আর বয়স্ক ভাতা প্রদান করবে ?
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ জিসান আহমেদ