নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাইবান্ধা জেলা শহরের ডিবি রোডস্থ একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাড়াটিয়া কর্তৃক জাল দলিল সৃজন করে ভুয়া মালিক সেজে ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে জবর দখলের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। দোকান ঘরের মালিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিদেশে চিকিৎসাধীন নার্গিস রওশন আক্তারের পক্ষে ব্যবসায়ি স্বামী কাজী মোঃ আব্দুল মাজেদ রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার দাবী করেন।সংবাদ সম্মেলনে কাজী মোঃ আব্দুল মাজেদ লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, দোকান ঘরটি ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে শহরের মুন্সিপাড়ার মৃত ফজলে এলাহীর পুত্র মাহবুব এলাজী রঞ্জু মাসিক তিনশত টাকায় ভাড়ায় ব্যবসা করার নিমিত্ত গ্রহণ করে। চুক্তি মোতাবেক পজেশন বাবদ নির্ধারিত ১ লাখ ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে মাহবুব এলাহী রঞ্জু মাত্র ২৫ হাজার টাকা প্রদান করার পর বাকি টাকা প্রদান করেন নাই।এমনকি ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসের পর অদ্যাবদি ভাড়া প্রদান করেন নাই।উপরন্ত উক্ত ঘরটির ভুয়া মালিক সাজার জন্য মাহবুব এলাহী রঞ্জু প্রকৃত মালিক নার্গিস রওশন আক্তারের স্বাক্ষর জাল করে গত ১৯৯০ সালের ১৮ নভেম্বর ১১১৬৮ নং একটি জাল যোগসাজসী দলিল সৃজন করে। উক্ত জাল দলিল দ্বারা তাহার নামে সেটেলমেন্ট অফিসে ডিপি খতিয়ান করতে গেলে আপত্তি মোকদ্দমা নং ৬৩ তে সেটেলমেন্ট আদালতে উক্ত দলিল ভুয়া সাব্যস্ত (০৯/০৭/২০১৩ তারিখের রায়ে) তাহার দাবী নাকোচ হয়।
এছাড়া গাইবান্ধা পৌরসভায় সত্য গোপন করে উক্ত দোকান ঘরের হোল্ডিং নিজ নামে খোলারও আবেদন করলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তা নাকোচ করে প্রকৃত মালিক নার্গিস রওশন আক্তারের নামে (৪০ নং হোল্ডিং) বহাল রাখেন।এরপরেও দোকান ঘর দখলের অপতৎপরতার অংশ হিসেবে সে গাইবান্ধার সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৭৫/২০১০ নং মিস (রেন্ট কন্ট্রোল) মোকদ্দমা দায়ের করেন। এ মামলায় অবশ্য তিনি নিজকে উচ্ছেদ যোগ্য ভাড়াটিয়ার বর্ণনা দেন। এমনকি মাহবুব এলাহী উক্ত ১১১৬৮ নং জাল দলিল দ্বারা গাইবান্ধা সোনালী ব্যাংকের শাখা হইতে ঋণ গ্রহণ করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে প্রতারিত করেছে। এব্যাপারে ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অতঃপর সম্প্রতি কাজী মোঃ আব্দুল মাজেদ কর্তৃক দোকানের দখল বুঝাইয়া দেয়ার আবেদন করলে, মাহবুব এলাহী রঞ্জুর ভাই প্যারিস তাদের সন্ত্রাসী সহযোগীদের দ্বারা তাকে হত্যার হুমকিসহ নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রাখে। এব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি জিডিও করা হয়েছে (নং১২২০ তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৫)।উল্লেখ্য, উক্ত দোকান ঘরের প্রকৃত মালিক নার্গিস রওশন আক্তার বর্তমানে মারাত্মক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাদশা হক্কানী, এস.এম হুনান হক্কানী, মোঃ লাভলু সরকার প্রমুখ।
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ আরিফ উদ্দিন