১৭ই মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এ উপলক্ষ্যে কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও করণীয় নির্ধারনে আজ ১৩ মে ২০১৫ বুধবার সকাল ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুবলীগ চেয়ারম্যন মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, আহাম্মদ আল কবির, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এমপি, মোঃ ফারুক হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, এড. বেলাল হোসাইন, এড.মোতাহার হোসেন সাজু, শাজাহান ভূইয়া মাখন, ইঞ্জি.নিখিল গুহ, ডা. মোখলেস উজ জামান হিরো, আনোয়ারুল ইসলাম, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, ব্যারিস্টার এনামুলকবির ইমন।
সভাপতির বক্তব্যে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যন মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তির ফলে বদলে গেছে বাংলাদেশ,পাল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্র, যোগ হবে আরো ১০ হাজার ২৫০ একর ভূখন্ড। এরই নাম শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক মুজিব ইন্দিরা চুক্তি ভারতের লোক সভায় পাশ হওয়ায়, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভায় বক্তব্যদানকালে তিনি এ কথা বলেছেন। এ সময় যুবলীগ চেয়ারম্যন আরও বলেন, সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছরের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হলো। ১৯৪৫ সালে নেহেরু এই সীমান্ত চুক্তি করেছিল। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধির সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে সিমান্ত চুক্তি হয়েছিল, ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর সে চুক্তিটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা নিয়ে ৪৪ বছরের সমস্যা নয়, প্রায় ৭০ বছরের একটি সমস্যার সমাধান করলেন। কারন এটি ৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকেই চলে আসা সমস্যা। এই স্থল সীমানা চুড়ান্তকরনের জন্য ৫৭ বছর আগে নূন-নেহেরু যা শুরু করেছিলেন তা অবশেষে শেষ করলেন হাসিনা-মোদি। বিশেষত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সরকার জোর গলায় বলতে পারবে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে প্রথমে জলে, পরে স্থল মিলিয়ে চুড়ান্তভাবে রাষ্ট্রীয় সীমানা উপহার দিয়েছে।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
যুবলীগ ঘোষিত কর্মসূচীঃ
১৫মে শুক্রবার রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও ঐতিহাসিক সীমান্তচুক্তি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী রেজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ বৃটিশ পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় দেশব্যাপী সকল মসজিদে শোকরানা মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
১৬-১৮ই মে পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম গ্রন্থের প্রদর্শনী।
১৭মে ভোরে সকল দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।
১৭মে সকাল ১০ টায় ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, সকাল ১১টায় গণভবনে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়।
২০মে বিকাল ৩টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভা। প্রধান অতিথি মাননীয় বানিজ্যমন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদ।
২১মে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে আলোচনা সভা।
২২মে বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণমিছিলে অংশগ্রহণ।