,মধুখালী উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের কৃষক মো. আহাদুল ইসলাম বেসরকারি পর্যায়ে গবেষণামূলক প্রকল্প হাতে নিয়ে ২০ একর জমিতে হাইব্রিড বারি-৭ জাতের ভুট্টা চাষ করে তা থেকে বীজ উত্পাদনে সফল হয়েছেন।
কৃষক আহাদুল জানান, ভুট্টা খাদ্য হিসেবে উত্পাদন অনেক বেশি পাওয়া যাবে। এর উত্পাদন বাড়ালে দেশের চাল ও গমের চাহিদা মেটানোও সম্ভব। তিনি প্রথমে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএডিসির কাছ থেকে ৫৫০ টাকা দরে প্রতি কেজি মৌলবীজ কিনে ভিত্তিবীজ উত্পাদন করছেন প্রতি একরে দেড় টন। মৌলবীজ থেকে ভিত্তিবীজ প্রতি একরে মাড়াই পর্যন্ত তার খরচ ৭০ হাজার টাকা। একরে উত্পাদিত বীজের মূল্য পান তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এতে তিনি যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি এখানে এলাকার নারী ও পুরুষ শ্রমিকের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হচ্ছে।
চাষিদের ভুট্টার চাষে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে সিয়াম সিডস এন্ড এগ্রোফুড কাজ করে যাচ্ছে।
মধুখালী কৃষি অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম জানান, মধুখালীতে প্রথম পর্যায়ে খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন চাষির মাধ্যমে ১০ একর জমিতে ভুট্টা আবাদ করা হয়। ফলন ভাল হওয়ায় চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে আগামীতে খরিপ-১ এর আওতায় চাষিদেরকে ভুট্টা চাষ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।