নিজের মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় গাছে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাতে আমিরুল ইসলাম (৪০) নামে এক স’মিল শ্রমিককে অমানুষি ক নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় মিল মালিক আবদুল হালিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। যশোর শহরের শেখহাটি হাইকোর্ট মোড়ে সোমবার বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। আহত আমিরুল ইসলামের বাবার নাম আবদুস সুবহান। যশোর উপশহরের ৯নম্বর সেক্টরে তাদের বাড়ি বলে জানা গেছে।
আহত আমিরুল জানান, শেখহাটি জামরুলতলায় আবদুল হালিমের স’মিলে তিনি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখানকার কর্মচারী হিসেবে স’মিলের মালিকের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন। এরপর তিনি ওই মিলের কাজ ছেড়ে দেন। স’মিলের মালিক আবদুল হালিম তার কাছে টাকা না চেয়ে তার মেয়ের মোবাইল নম্বর যোগাড় করে তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি আমিরুলের মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেন। তার মেয়ে প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় হালিম প্রায়ই তাকে ফোন করে পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আমিরুল ইসলাম সোমবার বিকেল ৫টার দিকে হালিমের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন। এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে হালিম ও তার লোকজন আমিরুলকে ধরে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করে। এসময় স্থানীয় লোকজন নির্যাতনের ঘটনার ভিডিওচিত্রও ধারণ করেন। তবে ভয়ে কেউ আমিরুলের সাহায্যে এগিয়ে যায়নি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমিরুল ইসলামকে গাছে বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় পায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
যশোর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাছ আলী জানান, খবর পেয়ে তারা আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ছাড়া গাছে বেঁধে নির্যাতন করায় আবদুল হালিমকে আটক করা হয়েছে। অনৈতিক ব্যাপার ও পাওনা টাকার বিরোধ নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।