অচিরেই তিস্তা চুক্তির স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ড. এস জয়শংকর।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ ষষ্ঠ মৈত্রী সম্মেলনে তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এ বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেছেন, এখন এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক পৌঁছেছে। শক্তিশালী, স্থিতিশীল এবং দ্রুত উন্নয়নশীল প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের বন্ধুত্বকে ভারত সব সময় গুরুত্ব দেয়। স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরো উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই দেশের সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনা করছে।
খুব শিগগিরই এ চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ভারতের বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের নীতি গ্রহণ করেছে।’
সীমান্তে হত্যা কমানো ও চোরাচালান বন্ধের যৌথ প্রতিশ্রুতি আর অমীমাংসিত বিষয়গুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে দু’দিনের এ সম্মেলন শেষ হয়েছে। নয়াদিল্লির ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ এবং নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির অভিজাত ওবেরয় হোটেলে ষষ্ট মৈত্রী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী নাজমা হেপতুল্লা।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু, নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, নয়াদিল্লির ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা অলোক বনসল, মৈত্রী আলোচনার ব্যবস্থাপক ও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের ঢাকা চ্যাপ্টারের সচিব এ এস এম শাসসুল আরফিনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ড. এস জয়শংকর বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যত বেশি যোগাযোগ হবে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক তত বেশি শক্তিশালী হবে। দুই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি কোস্টাল শিপিং চালু করার কাজ চলছে। কোস্টাল শিপিং চালু হলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।’