কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নিন্মমানের বীজ সরবরাহ করায় হতাশ হয়ে পড়েছে পাটচাষিরা। পাট মন্ত্রণালয়ে পক্ষ থেকে চলতি বছর এ উপজেলায় পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার অধীনে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের পাট চাষিদের তালিকা করে ২ থেকে ৩ পেকেট পাট বীজ সরবরাহ করা হয়। সূত্র জানায়, স্থানীয় মেম্বারদের সহযোগিতায় পাট চাষিদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। চাষিদের মাঝে যে জাতের বীজ সরবারাহ করা হয়েছিল তা ছিল নিন্মমানের। যেসব চাষি পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার নিকট থেকে বীজ নিয়ে জমিতে বপন করেছিল তা চারা গজিয়ে আগা ফেটে যায় সেই সঙ্গে ফুল ঝরে পরে।আবার অনেকের চারা অর্ধেক গজালেও বাকি চারা গজায় নি। এ নিয়ে পাট চাষিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দারুন হতাশা। পাট কটিয়াদী উপজেলায় একটি অর্থকারী ফসল এবং এখানকার পাটের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাছাড়া এখানে একটি প্রসিদ্ধ মোকাম রয়েছে। প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার মন পাট উৎপাদিত হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি পাট মৌসুমে এই উপজেলায় তুষা পাট ৫৬৭, দেশি পাট ২৮৬ কেনাব পাট ৬৯০ ও মেস্তা পাট ৭৫ হেক্টরসহ মোট ১৫৫৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। পাট বপন মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহওয়ার কারণে চাষাবাদ অনেকটা বিঘিœত হয়। বৈরাগীচর গ্রামের কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, তিনি পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার নিকট থেকে ২ পেকেট বীজ নিয়ে তা বপন করে প্রতারিত হয়েছেন।
একই অভিযোগ পৌর এলাকার চরিয়াকোনা গ্রামের কৃষক মঞ্জিল মিয়ার, তার ২ বিঘা জমিতে বপন করা পাট নিন্মমানের বীজের কারনে নষ্ট হয়েছে। প্রতি বিঘা জমি প্রস্তুত করতে তাদের খরচ পরেছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। চান্দপুর ইঊপির মানিকখালী গ্রামের বীজ বিক্রেতা সুরুজ মিয়া জানান, এ বছর উপজেলায় ভারতীয় ন্নিমানের পাট বীজ বিক্রয় করা হয়েছে তা বপন করার পর চারা না গজানোয় চাষিরা প্রতারিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোজাহার হোসেন আহম্মদ জানান, পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের কাজের কোন সমন্বয় নেই, তারা এমন অভিযোগ শুনেছে কিন্তু তাদের পক্ষে এ নিয়ে কিছু করার নেই। বিএডিসি বীজ নিয়ে অভিযোগ থাকলে কৃষি অফিস দেখবে।
কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুবল চন্দ্র দাস